যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপিন্স তাদের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে চীনের বড় ধরনের সামরিক মহড়ার পরই যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপিন্স এই ব্যাপক পরিসরের মহড়া শুরু করল।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে তিনদিনের বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় চীন। যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই পেশীশক্তি প্রদর্শনকে অসম বলে সমালোচনা করেছে। আর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই বলেছেন, এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ।
এরপরই যৌথ মহড়া শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপিন্স। তবে তাদের এ সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ফিলিপিনো এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের এই মহড়া অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকেই সামনে নিয়ে এসেছে।
ওয়াশিংটন গতমাসেই ঘোষণা দিয়ে বলেছিল, ফিলিপিন্সের সঙ্গে তাদের বার্ষিক বালিকাতান মহড়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হবে। এতে অংশ নেবে ১৭ হাজারের বেশি সেনা। এর মধ্যে ১২ হাজার জনই হবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা।
দুই সপ্তাহের এই বালিকাতান অভিযানে দক্ষিণ চীন সাগরে একটি যুদ্ধজাহাজকে নিশানা করে সেটি উড়িয়ে দেওয়ার মহড়া হবে। এই মহড়ার কারণে চীন ক্ষুব্ধ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপিন্সের কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, তাইওয়ান ঘিরে যা হয়েছে, তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য এই যৌথ মহড়া করছেন না তারা।