যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের স্বাধীন গবেষকদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এমন কথা।
Published : 20 Feb 2024, 07:41 PM
গাজায় যদি এখন লড়াই থেমেও যায়, তারপরও যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যসংকটের কারণে আগামী ছয়মাসে আরও প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের স্বাধীন গবেষকদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এমন কথাই।
লড়াইয়ের কারণে গাজার হাসপাতালগুলো বিপর্যস্ত হয়েছে। গাজার ২৩ লাখ মানুষের ৮৫ শতাংশেরও বেশি গৃহহীন হয়েছে। জণাকীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ডাইরিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। দেখা দিয়েছে অপুষ্টি।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন, ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জন্স হপকিন্স সেন্টারের শিক্ষাবিদরা তাদের প্রতিবেদনে গাজায় স্বাস্থ্যসংকটে মানুষের মৃত্যুর আনুমানিক ওই পরিসংখ্যান দিয়েছেন।
প্রতিবেদনটি সোমবার প্রকাশ পেয়েছে। এতে ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ, তাদের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা অক্ষুন্ন আছে।
গবেষকরা বলছেন, গাজায় লড়াই চলতে থাকলে কিংবা বেড়ে গেলে ট্রমাটিক ইনজুরিতে বাড়তি মানুষের মৃত্যু হবে। কিন্তু অপুষ্টি, কলেরার মতো সংক্রামক রোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে যত্নের সহজলভ্যতার অভাবে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে লড়াই বেড়ে গেলে রোগ ছড়িয়ে পড়ে অগাস্টের শুরু নাগাদ মোটামুটি ৮৫,৫৭০ জন মানুষ মারা যেতে পারে। আর ট্রমাটিক ইনজুরিতে মরতে পারে ৬৮,৬৫০ জন।
আর যদি যুদ্ধবিরতি হয়ে যায়, তাহলেও গাজা এবং এর স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি রোগ ছড়িয়ে পড়তে থাকলে ওই একই সময়ের মধ্যে প্রায় ১১,৫৮০ জন মানুষ মারা পড়তে পারে।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতবছর ৭ অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।