পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি সমকামী যুবকের শিরশ্ছেদ

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২৫ বছর বয়সী এই যুবককে হত্যার ঘটনায় ফিলিস্তিন পুলিশ এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2022, 05:55 PM
Updated : 7 Oct 2022, 05:55 PM

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে শিরশ্ছেদে হত্যা করা এক সমকামী ফিলিস্তিনি যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

২৫ বছর বয়সী এই যুবককে হত্যার ঘটনায় ফিলিস্তিন পুলিশ এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইসরায়েলের এলজিবিটিকিউ (নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী) গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, শিরশ্ছেদের শিকার যুবক আহমদ আবু মারহিয়া ইসরায়েলে আশ্রয় খুঁজছিলেন। সমকামী হওয়ার কারণে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।

হেবরনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে, নিশ্চিতভাবে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না।

আবু মারহিয়া ওই শহরে কীভাবে গেলেন তা এখনও স্পষ্ট না। এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীগুলো বলছে, মারহিয়া দু’বছর ধরে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য ইসরায়েলে ছিলেন। নিজ সম্প্রদায়ে হত্যার হুমকি পাওয়ার পর তিনি বিদেশে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।

মারহিয়ার বন্ধু-বান্ধবদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাকে অপহরণ করে পশ্চিম তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

তবে মারহিয়ার পরিবার বলছে, হেবরনে তিনি নিয়মিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং কাজের জন্য যেতেন। হত্যার কারণ হিসেবে সমকামিতার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা গুজব বলে দাবি করেছে পরিবারটি।

ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে সবচেয়ে রক্ষণশীল এলাকাগুলোতে সমকামিতা স্বীকৃত নয়।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মানবিক কারণে অনুমতি পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। কানাডায় যাওয়ার আশা ছিল তার।

মানবাধিকার কর্মী নাতালি ফারাহ ইসরায়েলের হারেৎজ পত্রিকাকে বলেছেন, আবু মারহিয়া অনেকের কাছেই পরিচিত এবং পছন্দের ছিলেন। পুরো এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায় এখন কাঁদছে। সবাই ভীত।

মারহিয়ার শিরশ্ছেদের ঘটনা ফিলিস্তিনিদের মধ্যেও ক্ষোভ সঞ্চার করেছে।