২০০০ সাল থেকে দেশটিতে বিমান বা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় এই পর্যন্ত ৩৬০ জন নিহত হয়েছেন।
Published : 07 Sep 2024, 11:59 AM
নেপালে গেল জুলাইয়ে যে বিমান দুর্ঘটনায় ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটে, সেটি নির্ধারিত ওজন ও গতিতে উড়ছিল না।
দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
নেপালের সৌরিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি গত ২৪ জুলাই রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়ে ১৭ জন আরোহী ও কো-পাইলট নিহত হন।
তদন্ত প্রতিবেদনের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, এয়ারলাইন্সটি নির্ধারিত ওজন ও গতির সুরক্ষানীতি ভঙ্গ করেছে।
তদন্ত দলের চেয়ারম্যান রতিশ চন্দ্র লাল বলেন, “আমরা বিমানটির গতি এবং এটি যে ওজন বহন করছিল তাতে অসঙ্গতি পেয়েছি। এছাড়া লোডের যথাযথ ও নিরাপদ ল্যাচিংও ছিল না।”
ব্যাগেজ ও কার্গোর ওজন, সেসব বিতরণ এবং ল্যাচিং সংক্রান্ত গাইডলাইন অবশ্যই মেনে চলা উচিত।
দু'জন ক্রু এবং ১৭ জন প্রযুক্তিবিদ নিয়ে ৫০ আসনের সিআরজে-২০০ বিমানটি নেপালের নতুন পোখারা বিমানবন্দরে দেখাশোনার জন্য যাচ্ছিল।
বিমানটিতে একজন ইয়েমেনের প্রকৌশলী ছাড়া সবাই নেপালের নাগরিক ছিলেন।
জানা যায়, ২০০০ সাল থেকে দেশটিতে বিমান বা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় এই পর্যন্ত ৩৬০ জন নিহত হয়েছেন।
হিমালয় কণ্যার দেশ নেপাল। বিশ্বের ১৪টি উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গের আটটিই নেপালে। প্রতিদিনই সেখানে অনেক ফ্লাইট দুর্গম পাহাড় এবং মেঘে ঢাকা পাহাড়ের ভেতর দিয়ে উড়ে যায়। কিন্তু তারপরেও এতো বিমান দুর্ঘটনার জন্য বেশ সমালোচিত একটি দেশ নেপাল।
তবে, দেশের প্রধান বিমানবন্দরটি পর্বতমালা দ্বারা বেষ্টিত। বাতাসের গতিপথ এবং তীব্রতার কারণে বিমান চলাচলে প্রায়ই ব্যাঘাত ঘটে। ফলে পাইলটদের জন্য টেকঅফ এবং অবতরণও কঠিন হয়ে ওঠে।