গাজায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৬০ জন শিশু নিহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেইয়ার। গাজাবাসী যে মৃত্যু আর দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তার ভয়াবহতা ‘অনুধাবন করাও কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার জেনিভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে লিন্ডমেইয়ার বলেন, গাজায় যুদ্ধের শুরু থেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ১০০ টিরও বেশি হামলা হয়েছে। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মারা গেছে ১৬০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ১৪০০’র বেশি মানুষের সঙ্গে গাজায় মানুষ নিহতের তুলনা টেনে তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে, যা সেখানকার জনসংখ্যার অর্ধশতাংশ।
এরপরই শিশু নিহতের হিসাব দিয়ে লিন্ডমেইয়ার বলেন, “প্রতিদিন গাজায় নিহত হচ্ছে গড়ে প্রায় ১৬০ শিশু। গাজার অধিবাসীদের দুর্ভোগের ভয়াবহতার কাছে কোনও অজুহাতই ধোপে টিকবে না।”
এর আগে তিনি বলেছিলেন, গাজায় মানুষের অঙ্গচ্ছেদসহ অস্ত্রোপচারও করা হচ্ছে কোনওরকম চেতনানাশক ছাড়া।
ইসরায়েলের বিমান হামলা বাড়তে থাকায় গাজা শিশুদের জন্য কবরস্থান হয়ে উঠছে বলে এর আগে সতর্ক করেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন যে লঙ্ঘন হচ্ছে এতেই তা স্পষ্ট, বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
জাতিসংঘ সংস্থাগুলোও এরই মধ্যে বিরল এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যাকে 'ভয়াবহ' আখ্যা দিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর একটি গোষ্ঠী বলেছে, গাজায় সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করাটা অপরাধ।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকেই গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধ হামলা চলছে। এ যুদ্ধে গাজায় হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করেছেনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।