ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনভিজা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর পুরো প্রতিনিধি দলকে দেশে ফেরার পর আইসোলেশনে থাকার ও আরও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল।
সেই পরামর্শ মেনে বুধবার থেকে বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কয়েকঘণ্টা পর নিউ ইয়র্কে পরীক্ষায় বোলসোনারোর সফরসঙ্গী স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্সেলো কিরোগার কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। তারপর থেকে নিউ ইয়র্কে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য হন ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিরোগা।
তবে পরীক্ষায় প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোসহ ব্রাজিল প্রতিনিধি দলের বাকি সবার নেগেটিভ ফল আসে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ব্রাজিল সরকারের গণযোগাযোগ দপ্তর।
জাতিসংঘের অধিবেশনে সবাইকে করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে যোগ দিতে বলা হলেও বোলসোনারো ভ্যাকসিন না নিয়েই সেখানে হাজির হয়ে প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন। জাতিসংঘের নিয়ম অমান্য করা বোলসোনারো টিকা না নেওয়ার জন্য বড়াইও করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ ভবনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বোলসোনারোর বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিরোগা। বৈঠকের সময় কিরোগা মাস্ক পরা থাকলেও ওই দুই নেতার কারোরই তা ছিল না।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্তিফেন দুজারিক জানিয়েছেন, ব্রাজিল সরকার জাতিসংঘকে জানিয়েছে তাদের পুরো প্রতিনিধি দল ১৪ দিনের জন্য স্বেচ্ছা-কোয়ারেন্টিনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিরোগা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
নিউ ইয়র্কে ব্রাজিলের প্রতিনিধি দলের সবার টিকা নেওয়া থাকলেও শুধু বোলসোনারোই নেননি। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার ফলে তার শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা যেকোনো টিকার চেয়ে থাকে বেশি সুরক্ষা দেবে বলে বিশ্বাস তার।