দুনিয়ার ওপর কয়েক দেশের খবরদারির দিন শেষ: চীন

চীন শিল্পোন্নত ৭টি দেশের জোট জি-৭ এর নেতাদের স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দুনিয়ার ভাগ্য অল্প কয়েকটি দেশের গোষ্ঠী নির্ধারণ করবে, এমন দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2021, 11:24 AM
Updated : 13 June 2021, 11:24 AM

যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালের কারবিস বে অবকাশযাপন কেন্দ্রে  জি-৭ সম্মেলনে বেইজিংয়ে বিরুদ্ধে বিশ্বের ধনী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর একাট্টা হওয়ার আগ্রহের বিপরীতে রোববার চীন এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

“সেসব দিন, যখন অল্প কয়েকটি দেশের তৈরি করা ছোট একটি গোষ্ঠীর হুকুমে বৈশ্বিক সিদ্ধান্তগুলো ঠিক হতো, তা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, বিভিন্ন দেশ, তা বড় বা ছোট, শক্তিশালী বা দুর্বল, ধনী বা দরিদ্র যা-ই হোক না কেন, সব সমান। এ কারণেই বৈশ্বিক বিষয়গুলো সব দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই পরিচালিত হওয়া উচিত,” বলেছেন লন্ডনের চীন দূতাবাসের এক মুখপাত্র।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ও স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শক্তি হিসেবে চীনের আবির্ভাবকে সাম্প্রতিক সময়ের ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

গত চার দশকে অর্থনীতি ও সামরিক খাতে দেশটির অভাবনীয় উন্নতির পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রতিক্রিয়া খুঁজতে চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণপশ্চিম ইংল্যান্ডে মিলিত হয়েছেন জি-৭ এ শীর্ষ নেতারা।

চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের বিপরীতে ধনী গণতান্ত্রিক দেশগুলোও যে বিকল্প প্রস্তাব হাজির করতে পারে তা বিশ্বকে দেখাতে চান যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও জাপানের নেতারা।

শনিবার চীন সংক্রান্ত এক আলোচনায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তিনি বেইজিংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জোটের নেতাদের সমন্বিত পন্থা বের করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।

জি-৭ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একটি অবকাঠামো প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যা শি’র কয়েকশ ট্রিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হাজির হতে পারে।

বেইজিং বরাবরই তার দৃষ্টিতে পশ্চিমা দেশগুলোর তাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিরুদ্ধে পাল্টা অবস্থান নিয়েছে। বিশ্বের অনেক বড় বড় শক্তি এখনও অচল ঔপনিবেশিক মানসিকতা আঁকড়ে আছে বলেও অভিযোগ তাদের।