আদালতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চললেও অভিযোগ অস্বীকার করা নেতানিয়াহু ডানপন্থি, মধ্যপন্থি ও আরব দলগুলোর নড়বড়ে জোটের নতুন শাসকগোষ্ঠীকে চাপে রাখবেন বলেই পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা।
ইসরায়েলের নতুন এ রাজনৈতিক জোটের অংশীদারদের মধ্যে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে ঐক্য ছাড়া আর কোনো ক্ষেত্রে কোনো মিল নেই।
৭১ বছর বয়সী কড়া অভিব্যক্তির নেতানিয়াহু এরইমধ্যে এই জোটকে আক্রমণ করে তারা ‘বিপজ্জনক, বামপন্থি সরকার’ গঠন করেছে বলে সমালোচনা করেছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রোববার তার সহকর্মী ডানপন্থি নেতা নাফতালি বেনেট তার বিপক্ষে গিয়ে মধ্যপন্থি বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ায়ের লাপিদের জোটে যোগ দিলে ক্রোধান্বিত নেতানিয়াহু একে ‘শতাব্দির সবচেয়ে বড় প্রতারণা’ বলে উল্লেখ করেন, কারণ বেনেট ওই জোটে যোগ দেবেন না বলে প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েলের চতুর্থ নির্বাচনের (২৩ মার্চ) পর ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিতে দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও কোটিপতি বেনেট দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
পরে তিনি এ দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন লাপিদকে, যিনি একসময় নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন।
রাজনৈতিকভাবে বহুধা বিভক্ত ইসরায়েলে, যেখানে অচলাবস্থা নিরসনে বারবার নির্বাচনে যাওয়া সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে সেখানে লাপিদ-বেনেট জোটের বিচিত্র গঠনই একে নির্দিষ্টভাবে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
এর মানে দাঁড়াচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে নেতানিয়াহুর আবার ফিরে আসার সম্ভাবনাকে বাতিল করে দেওয়া যাচ্ছে না।