পাকিস্তানে পুলিশ কর্মকর্তা ‘অপহরণ’ নিয়ে শোরগোল, তদন্তের নির্দেশ সেনাবাহিনীর

পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিক্ষোভ চলার মধ্যে আধাসামরিক বাহিনীর হাতে সিন্ধুর পুলিশ প্রধান অপহরণের অভিযোগ নিয়ে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 21 Oct 2020, 03:50 PM
Updated : 21 Oct 2020, 03:50 PM

প্রতিবাদ, শোরগোলের মুখে অপহরণের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সিন্ধু প্রদেশের স্থানীয় রাজনীতিবিদদের অভিযোগ, আধাসামরিক বাহিনীর সেনারা সোমবার প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান মুশতাক আহমেদ মাহারকে অপহরণ করেছে এবং বিরোধীদলীয় নেতা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সফদারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশনামায় সই করতে বাধ্য করেছে।

পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন (পিএমএল-এন) এর সদস্য এবং বিরোধীদলীয় নেতা সফদার সোমবার করাচিতে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের পর গ্রেপ্তার হন এবং কয়েকঘন্টা পর জামিনে মুক্তি পান।

সিন্ধু সরকার বলছে, তারা সফদারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়নি। সফদারকে গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ নিতে পুলিশকে বাধ্য করা হয়েছে।

পিএমএল-এন ও মিত্র বিরোধীদলগুলো নিয়ে গঠিত ‘পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট’ (পিডিএম) গত সপ্তাহ থেকেই পাকিস্তানজুড়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘পুতুল’ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে।

এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অন্যতম সোচ্চার কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে জামাই মোহাম্মদ সফদার।

নওয়াজের মেয়ে এবং সফদারের স্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ সোমবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, সিন্ধুর পুলিশ প্রধান ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) মুশতাক আহমেদের ফোন জব্দ করা হয়েছে। তাকে সেক্টর কমান্ডারের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তারের আদেশে সই করতে বলা হয়েছে। সই নেওয়ার পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এই অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়। সিন্ধুতে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি প্রকাশ্যেই সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা প্রধানদেরকে পুলিশ কর্মকর্তা অপহরণের অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানান।

অভিযোগ করে বিলাওয়াল বলেন, এই ঘটনা শেষ সীমা অতিক্রম করেছে। ওদিকে, অপহরণ ঘটনার প্রতিবাদে সিন্ধুর বহু শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাই মঙ্গলবার কর্মবিরতিতে যাওয়ার পদক্ষেপ নেন।

তবে অপহণের ঘটনা তদন্তের সেনাবাহিনীর নির্দেশ আসার পর আইজিপি মাহারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা আপাতত কর্মবিরতিতে না গিয়ে তদন্তে কী বেরিয়ে আসে তা দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এক টুইটে জানিয়েছে সিন্ধু পুলিশ।