করাচিতে এক লাখ রুপি জামানতে সোমবার তার জামিন মঞ্জুর করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
সফদারের স্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন (পিএমএল-এন) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বামীর জামিন পাওয়ার বিষয়টি জানান।
মরিয়ম বলেন, “আমরা দুজনই একসঙ্গে করাচি ছাড়ছি। কারণ, এখনই মরিয়াম আওরঙ্গজেব (দলীয় মুখপাত্র) আমাকে তার (সফদার) জামিন মঞ্জুর হওয়ার কথা জানিয়েছেন।”
পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকা জানায়, করাচির একটি হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে সফদারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সোমবার সকালের দিকে এক টুইটে জানিয়েছিলেন মরিয়ম।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রশাসনের বিরুদ্ধে রোববার করাচিতে ‘পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট’ (পিডিএম) নামের নবগঠিত বিরোধী যৌথফ্রন্টের প্রতিবাদ সমাবেশে মরিয়ম নওয়াজের অংশগ্রহণের কয়েকঘন্টা পরই সফদার গ্রেপ্তার হন।
মরিয়ম সমাবেশ করে তার স্বামী ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলি জিন্নাহর সমাধিতে গিয়েছিলেন। সেখানে কবর জিয়ারতের পর প্রটোকল ভঙ্গ করে স্লোগান দেন সফদার। একারণে সফদারের বিরুদ্ধে সমাধির পবিত্রতা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবারের টুইট বার্তায় মরিয়ম নওয়াজ লেখেন, ‘করাচিতে আমি যে হোটেলে আছি পুলিশ জোর করে সেই হোটেল কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ক্যাপ্টেন সফদারকে গ্রেফতার করে।’
ওদিকে, ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা আলি জিয়াদি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “মরিয়ম আবার মিথ্যা বলছেন। আপনারা হাতকড়া দেখেছেন? জোর করে গ্রেপ্তার করার মতো কিছু দেখা গেছে কি?”