দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় পোপাজান শহরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
স্থানীয় মিসাক সম্প্রদায়ের সদস্যরা ঘোড়ার উপর বসে থাকা দে বেলালকাজারের মূর্তিটিতে দড়ি বেঁধে টেনে স্তম্ভ থেকে ফেলে দেয়, এ সময় পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
১৫৩৭ সালে বেলালকাজার পোপাজান শহরটির পত্তন করেছিলেন। তার মূর্তিটি পাঁচ শতাব্দি ধরে চলা গণহত্যা ও দাসত্বের প্রতিনিধিত্ব করছিল বলে অভিযোগ করেছেন আদিবাসী নেতারা।
কিন্তু ঘটনাটিকে বহুসংস্কৃতির শহরটির একটি প্রতীকের বিরুদ্ধে ঘটানো সহিংসতা বলে মন্তব্য করেছেন পোপাজানের মেয়র।
বিবিসি জানিয়েছে, দে বেলালকাজার দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বহু অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি ইকুয়েডরের বর্তমান রাজধানী শহরেরও (কিতো) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
মিসাক সম্প্রদায় স্পেনীয় এই যোদ্ধাকে তাদের পূর্বপুরুষদের হত্যাকারী ও তাদের জমি দখলকারী হিসেবে বিবেচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে সেখানে ও ইউরোপজুড়ে পুলিশি নির্যাতন ও বর্ণবাদবিরোধী ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন শুরু হয়। দাসপ্রথা ও উপনিবেশবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মূর্তি ও ভাস্কর্যগুলো ফেলে দেওয়া এই আন্দোলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে।