রোববার টাইফুনটির তীব্রতা বেড়ে এর প্রভাবে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত, উঁচু ঢেউ, জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টাইফুনটি সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছানোর আগে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় কিউশু অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আরেক ভয়ঙ্কর টাইফুন মাইসাকের তাণ্ডবের পরপরই ধেয়ে যাচ্ছে এই টাইফুন হাইশেন।
পূর্ব চীন সাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে টাইফুন মাইসাক বৃহস্পতিবার ভোররাতে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর শহর বুসানে আঘাত হানে।
মাইসাকের তাণ্ডবে একজন নিহত হওয়া ছাড়াও জাপানের উপকূলে ৪৩ জন ক্রু ও ছয় হাজার গবাদিপশুসহ একটি মালবাহী জাহাজ নিখোঁজ হয়।
রোববার সকালের দিকে টাইফুন হাইশেন ওকিনাওয়ায় এবং পরে আমামি অঞ্চলের কাছাকাছি এগিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন জাপানের আবহাওয়া সংস্থার এক কর্মকর্তা।
ঝড়ের আশঙ্কায় জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় সব কলকারখানা, স্কুল এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বহু ফ্লাইট এবং বন্ধ করা হয়েছে ট্রেন চলাচলও।
দুর্যোগপূর্ণ এ পরিস্থিতিতে রোববার জাপানের মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠকেও বসছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর ঝড়ের প্রভাবে রেকর্ড বৃষ্টি এবং উঁচু ঢেউয়ের আশঙ্কায় লোকজনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
সংস্থাটির আবহাওয়া পূর্বাভাস ডিভিশনের পরিচালক ইয়োশিহিশা নাকামোতো সাংবাদিকদের বলেছেন, পানির স্রোত বেড়ে গিয়ে নিচু জায়গাগুলো বন্যার পানিতে ভেসে যেতে পারে। বিশেষ করে নদীর চারপাশের এলাকা।
ঝড়ের কবল থেকে বাঁচার জন্য হাজার হাজার মানুষকে স্কুল এবং কমিউনিটি সেন্টারের মতো স্থানগুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গোতো এবং নাগাসাকির ৩৬,৬০০ অধিবাসী। ওই দুই শহর সরাসরি ঝড়ের কবলে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।