দেশটিতে ১০২ দিন পর চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার একই পরিবারের ৪ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর পরপরই নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডকে অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জনই মঙ্গলবার শনাক্তদের সংস্পর্শে এসেছিল।
আক্রান্ত অন্য ব্যক্তি বিদেশফেরত; তিনি কোয়ারেন্টিনেই ছিলেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নতুন আক্রান্তদের পাশাপাশি তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের কর্মকর্তারা।
মহামারী মোকাবেলায় দ্রুত ও আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এখনও নিউ জিল্যান্ডের প্রশংসা চলছে।
দেশটিতে তিন মাস পর নতুন করে প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে জেসিন্ডা অ’ডুর্নের সরকার তাৎক্ষণিকভাবে অকল্যান্ডে কঠোর লকডাউন দেওয়ার পাশাপাশি দেশের অন্যত্র থাকা বাসিন্দাদেরও সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা ঠিকঠাকভাবে মেনে চলতে বলেছে।
১০২ দিন পর দেখা দেওয়া প্রাদুর্ভাবের উৎস জানতে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ শুরু করেছেন বলেও কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। অকল্যান্ডের পাশাপাশি ২৩০ কিলোমিটার দূরের রোটুরা শহরেও শনাক্তকরণ পরীক্ষার মাত্রা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার শনাক্ত চারজন গত সপ্তাহে এ রোটুরা শহরে গিয়েছিলেন।
নতুন ১৪ আক্রান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডে মোট এক হাজার ৫৮৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। দেশটিতে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।