মালয়েশিয়ার লংকাউই দ্বীপের কাছে সাঁতরে তীরে ওঠার চেষ্টাকালে নিখোঁজ হওয়া ২৬ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জীবিত পাওয়া গেছে।
Published : 27 Jul 2020, 01:26 PM
ডুবে মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা এই শরণার্থীরা নিকটবর্তী একটি ক্ষুদ্র দ্বীপের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে ছিল বলে সোমবার জানিয়েছেন মালিয়েশীয় কোস্টগার্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
শনিবার রাতে লংকাউইয়ের পশ্চিম উপকূলে নোঙর করা একটি ছোট নৌকা থেকে একজন রোহিঙ্গা সাঁতরে তীরে আসে। তীরে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে তার অপর সঙ্গীসাথীরা ডুবে মারা গেছে বলে আশঙ্কা করছিলেন মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা।
নিখোঁজ শরণার্থীদের সন্ধানে রোববার সকাল থেকে দুটি জাহাজ ও একটি বিমান নিয়ে অভিযানে নামে মালয়েশীয় কোস্টগার্ড। লংকাউই দ্বীপ থেকে ১০০ নটিকাল মাইল এলাকা পর্যন্ত অভিযানের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। অন্যান্য উদ্ধারকারী সংস্থা এবং স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষকেও সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করে তারা।
কিন্তু পরে লংকাউই দ্বীপের উপকূল সংলগ্ন একটি ক্ষুদ্র দ্বীপের ঝোপঝাড়ে নিখোঁজ শরণার্থীদের খুঁজে পাওয়া যায়।
“ওই দ্বীপটির ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে ছিলেন তারা, সেখানেই তাদের পাওয়া যায়,” এক টেক্সট বার্তায় জানিয়েছেন মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (এমএমইএ) মহাপরিচালক মোহাম্মদ জুবিল ম্যাট সোম।
খুঁজে পাওয়া এই শরণার্থীদের আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। এদের পাচারের সঙ্গে জড়িত আছে সন্দেহে আরও দুই রোহিঙ্গা অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জুবিল জানিয়েছেন।
মালয়েশীয় কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তার বিশ্বাস, বাংলাদেশ থেকে কয়েকশত রোহিঙ্গাকে নিয়ে একটি ‘মাদারবোট’ ওই এলাকার জলসীমায় গিয়ে এই শরণার্থীদের ছোট একটি নৌকায় তুলে চোরাপথে মালয়েশিয়ায় ঢোকানোর চেষ্টা করছিল।
গত মাসেও সাগর পাড়ি দিয়ে লংকাউইতে হাজির হওয়া ২৬৯ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছিল মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানের পর থেকে উন্নত জীবনের আশায় অনেক রোহিঙ্গার কাছেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া পছন্দের গন্তব্য হয়ে ওঠে।
কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিপর্যস্ত অর্থনীতির দিকে ইঙ্গিত করে জুনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন তার দেশ আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দেবে না বলে জানিয়েছিলেন।