আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সীমান্তে গোলাগুলি, নিহত ৪

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া সীমান্তে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে চার জন আজেরি সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আর্মেনি সৈন্য ও পুলিশ আহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2020, 06:44 AM
Updated : 14 July 2020, 06:44 AM

সোমবার দেশ দুটির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। উভয় দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করেছে।

আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত আজারবাইজানের নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে এই দুই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে, তবে এবারের সংঘর্ষের ঘটনাটি ওই বিরোধপূর্ণ অঞ্চল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে আর্মেনিয়ার তাভুশ অঞ্চলে ঘটেছে।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সংঘর্ষে তাদের চার জন সৈন্য নিহত ও আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের তিন সৈন্য ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।

রয়টার্স জানায়, রোববার দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত চলে। উভয়পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন ও গোলাবর্ষণের অভিযোগ করেছে।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ‘উস্কানি’ দেওয়ার জন্য আর্মেনীয় নেতৃত্বকে অভিযুক্ত করেছেন।

অপরদিকে ‘আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার অনিশ্চিত ফলাফল’ এর জন্য আজারবাইজানের নেতৃবৃন্দ দায়ী থাকবেন বলে হুঁশিয়ার করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ।

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার বিরোধ মেটানোর চেষ্টারত নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী ‘অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি এন্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ’ (ওএসসিই) সংঘাত ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে দেশ দুটিকে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছে।    

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহিংসতার নিন্দা করে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তির ব্যবহার বন্ধের জন্য দুই পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির জন্য নেওয়া ‘উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে শামিল থাকবে’ বলে জানিয়েছে।

আজারবাইজানের পার্বত্য অঞ্চল নাগোর্নো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর হাতে আছে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর অঞ্চলটিতে লড়াই শুরু হলে আর্মেনীয়রা স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়।

১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতি হলেও আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া ধারাবাহিকভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। নাগোর্নো-কারাবাখের এ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলের জন্যও উদ্বেগের বিষয়। কারণ পাইপলাইনে করে বিশ্ব বাজারে তেল ও গ্যাস সরবরাহের করিডর হিসেবে ব্যবহৃত এই অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তোলার হুমকি তৈরি করে এই অঞ্চলকে ঘিরে প্রতিবেশী দেশ দুইটির দ্বন্দ্ব।