সোমবার পুতিন ভোটের এ তারিখ জানান। ভোটটি এর আগে ২২ এপ্রিলে হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা পিছিয়ে গিয়েছিল।
পুতিনের ক্ষমতার মেয়াদ শেষের আগেই সংবিধানে আমূল পরিবর্তনের এ পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে তার ক্ষমতায় থাকার পট প্রস্তুত করতে পারে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে ভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। রাশিয়ার পার্লামেন্ট এবং সাংবিধানিক আদালত এরই মধ্যে পরিবর্তনগুলো অনুমোদন করেছে।
সোমবার কর্মকর্তাদের সঙ্গে টিভিতে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমেছে। এখন নির্বাচনী কমকর্তারা নিরাপদে ভোট নিতে পারবেন।
“আমরা ১ জুলাইয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে দেশজুড়ে ভোট অনুষ্ঠান করব।”
তার আগে ৩০ দিন সময়ের মধ্যে রাশিয়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং জনগণের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদে গণভোট আয়োজন করার জন্য বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারবে বলেও জানান পুতিন।
১৯৯৯ সাল থেকে পুতিন চারবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন দু’বার।
২০১২ সালে আবার প্রেসিডেন্ট পদে ফিরেই আইনপ্রণেতাদের দিয়ে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে পুতিন টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে।
ফলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য পুতিন ক্ষমতা ছাড়বেন, নাকি সংবিধানই পরিবর্তন করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই তিনি এ ভোটের পদক্ষেপ নিলেন।