‘এশিয়ায় করোনাভাইরাস মহামারী সহসাই শেষ হবে না’

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে করোনাভাইরাস মহামারী শেষ হতে ‘এখনও বহু দেরি’। এ মুহূর্তে ভাইরাসের বিস্তার কমাতে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, তাতে  দেশগুলো গণসংক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা একথা বলেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 31 March 2020, 01:00 PM
Updated : 31 March 2020, 01:00 PM

ডব্লিউএইচও’র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই মঙ্গলবার বলেন, “এত সব পদক্ষেপ নেওয়ার পরও মহামারী যতদিন চলবে ততোদিন এ অঞ্চলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কাটবে না।”

২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩১। আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেন।

ভার্চুয়াল এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তা কাসাই বলেন, “আমি বিষয়টি স্পষ্ট করে বলি। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ মহামারী সহসাই শেষ হবে না। এ পরিস্থিতি দীর্ঘ সময়ের এক লড়াই।আমরা কিছুতেই অসতর্ক হতে পারব না। ব্যাপক মাত্রায় গোষ্ঠী সংক্রমণ রোধে প্রতিটি দেশেরই প্রস্তুতি নিতে থাকা প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর মতো যেসব দেশের সম্পদ সীমিত তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ, এসব দেশে আক্রান্তদের শনাক্ত করতে নমুনা অন্য দেশে পাঠাতে হয় এবং পরিবহনে বাধানিষেধের কারণে এটি আরো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

কাসাই সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যেসব দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে তাদের অসতর্ক হওয়া যাবে না। অসতর্ক হলে ফের করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটতে পারে।

ডব্লিউএইচওর টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ম্যাথিউ গ্রিফিথ বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো দেশই নিরাপদ থাকবে বলে মনে করে না। কারণ, করোনাভাইরাস সবখানেই পৌঁছে যাবে।”

সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার কথা উল্লেখ করে গ্রিফিথ বলেন, “এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে এবং এলাকায় ভাইরাসের বিস্তার কমতে দেখা গেলেও নতুন নতুন জায়গায় তা ছাড়াচ্ছেই। বিদেশফেরত কেউ সেটি বহন করে আনার উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।”

“মহামারীর কেন্দ্র এখন ইউরোপ হলেও একসময় অন্য অঞ্চলগুলোও এর কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে” বলে সতর্ক করেন তিনি।