রাতের অন্ধকারে ফের ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি)বিরুদ্ধে।আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাম সংগঠনের দুই ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকালে। তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এবিভিপি’র কিছু ছাত্রের সঙ্গে বহিরাগতদের ঘুরতে দেখা গেছে। বাম এবং অ-বিজেপি ছাত্রদের তারা হুমকিও দেয়। তখনও কোনো মারপিট হয়নি। মারামারি শুরু হয় রাতে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের গাড়ির সঙ্গেই বাইক চালিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে আক্রমণকারীরা। যদিও এবিভিপি সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তাদের পক্ষ থেকে এ ঘটনার ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়াও এখনও আসেনি।
বুধবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক পোস্টে ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাভবন সিনিয়র বয়েজ় হস্টেলে বহিরাগতরা অন্তত দু’জন ছাত্রকে বেধড়ক মেরেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আরেকটি ভিডিও পোস্টে এক ছাত্র অভিযোগ করেছেন, রড-উইকেট-কাঠের তক্তা দিয়ে প্রথমে পূর্বপল্লীর রাস্তায় এবং পরে হস্টেলে ঢুকে তাদের মারা হয়েছে। ভিডিওতে মারমুখী বেশ কয়েক জনকে দেখাও গেছে ভাঙা উইকেট হাতে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি), নাগরিকত্ব আইনের ( সিএএ) প্রতিবাদে বিশ্বভারতীতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি সিএএ নিয়ে সেমিনার করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের একাংশের বিক্ষোভ-ঘেরাওয়ের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তখন থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ছিল। ছাত্রসংগঠন এসএফআই, ডিএসও-র দাবি, ওই ঘটনারই পাল্টা হিসেবে এবিভিপি বুধবার রাতে হামলা চালিয়েছে ।