এ সময় তার সঙ্গে সম্ভবত বেশ কয়েকজন লোক ছিল, সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো এমনটি জানিয়েছে।
ওই একই দিন জাপানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আর্থিক অনিয়মের বেশে কয়েকটি অভিযোগের মুখোমুখি করতে তারা লেবানন থেকে গোনকে জাপানের ফেরত পাঠানোর জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে পারে।
জাপানের কর্তৃপক্ষ এমন কথা বললেও দেশটির সাধারণত তার নাগরিকদের অন্য কোনো দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে না বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে গোনের বাড়ি ছাড়ার দৃশ্যগুলো ধরা পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, ২৯ ডিসেম্বর টোকিওর স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে গোন তার বাড়ি থেকে বের হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাজধানীর শিনাগাওয়া স্টেশনে প্রবেশ করছেন।
সেখান থেকে একটি বুলেট ট্রেনে চেপে তিনি শিন ওসাকা স্টেশনে যান বলে ঘটনার বিষয়ে জানেন এমন ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে কিয়োদো।
আন্তর্জাতিক এই ফেরারি ওই স্টেশন থেকে একটি গাড়িতে করে ওসাকার কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে বিমানবন্দরে গিয়ে রাত ১১টা ১০ মিনিটে একটি ব্যক্তিগত বিমানে চেপে জাপান ত্যাগ করেন।
পালিয়ে যাওয়ার আগে গোন বেশ কয়েকটি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন। সে সময় তার জাপান ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।
অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করা সত্ত্বেও গত বছরের শেষ দিকে পালিয়ে জাপান ছেড়ে লেবাননে চলে যান তিনি। ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া লেবাননি বংশোদ্ভূত এই ফরাসি ব্যবসায়ী জাপানের বিচার ব্যবস্থাকে ‘শঠ’ বলে অভিহিত করেছেন।
কিয়োদো জানিয়েছে, জাপানের তদন্তকারীরা পুলিশের সঙ্গে মিলে গোন যে রুট ধরে পালিয়েছেন তা উদ্ঘটন করার চেষ্টা করছে এবং তাকে যারা সাহায্য করেছে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
গোন পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের দেওয়া প্রথম ভাষ্যে সোমবার জাপানের বিচারমন্ত্রী মাসাকো মোরি জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক বহিঃসমর্পণ চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও সাধারণ নীতি অনুযায়ী টোকিও একজন সন্দেহভাজনকে ফেরত পাঠানোর জন্য যে কোনো দেশের কাছে অনুরোধ জানাতে পারে।
লেবাননের বিচার বিভাগের সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, গোনকে গ্রেপ্তার করার জন্য লেবানন ইন্টারপোলের কাছ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পায়নি আর সেটি না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিবে না।
সোমবার সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত সপ্তাহে তথাকথিত যে রেড নোটিশ তারা পেয়েছে তা ইন্টারপোলের সদরদপ্তর হয়ে আসেনি, সরাসরি জাপান থেকে পাঠানো হয়েছে।