বিদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করা মাত্রই তাদের সবাইকে স্যোশাল মিডিয়ার তথ্য, একাউন্ট আইডি এবং ছদ্মনামও মার্কিন কর্মকর্তাদেরকে দেওয়ার নতুন নিয়ম ২০১৮ সালে ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন। ২০১৯ সাল থেকে তা কার্যকর করা শুরু হয়েছে।
ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত তথ্য যাচাই এবং বিগত পাঁচ বছরের তথ্যও ঘেঁটে দেখার বিধান রয়েছে এ নিয়মে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের সময় অভিবাসীদের সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং ক্ষমতায় আসার পরই নির্বাহী আদেশে কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সে পথে হেঁটেই নতুন এ নিয়মটি চালু করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভিসা আবেদন ও আবেদনের নথিপত্র নিয়ে কাজ করা মার্কিন পররাষ্ট্রবিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের বিরুদ্ধে ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্যোশাল মিডিয়ার যুগে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা এবং নজরদারির প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে অভিযোগনামায়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বৈরাচারী দেশগুলোর মানুষরা নতুন ওই নিয়মের আওতায় তাদের ছদ্নাম প্রকাশ করতে বাধ্য হলে স্যোশাল মিডিয়ার তথ্য তাদের নিজেদের দেশের সরকারের কাছে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ফলে তারা বিপদে পড়তে পারেন। কারণ, রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য সাধারণত এমন দেশের নাগরিকরা ছদ্মনাম ব্যবহার করেন।
এতে আরো বলা হয়, অনেক মানুষই নাম প্রকাশ না করে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এবং বিতর্কিত বিষয়ে কথা বলার জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। এতে তারা নিজেদের পাশাপাশি তাদের পরিবার এবং সহযোগীদেরকে কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
অথচ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদনকারীদেরকে তাদের অনলাইনের এই পরিচয়হীনতা প্রকাশ করে দেওয়ার শর্ত জুড়ে দিয়ে তাদের আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত থাকার ভিত্তিতেই ভিসা পাওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
মামলাকারী দুটো ডকুমেন্টারি ফিল্ম কোম্পানি হচ্ছে, ব্রুকলিনের ডক সোসাইটি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি এসোসিয়েশন।