তিনি বলেন, “এটি মেনে নেওয়া যায় না এবং এটা লজ্জাজনকও বটে।”
যুক্তরাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে পার্লামেন্টের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কমিটি (আইএসসি) ওই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। এটি প্রকাশের ছাড়পত্রও দিয়ে দিয়েছে ব্রিটিশ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরকার এখনো প্রতিবেদনটি প্রকাশের অনুমোদন না দেওয়ায় সেটি ১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে জনসম্মুখে আসবে না।
এরই প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশে করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি বলেন, “দেশের প্রতিটি মানুষ যারা ভোট দেন, তারা নির্বাচন হওয়ার আগেই ওই প্রতিবেদনে কী আছে তা জানার অধিকার রাখেন।”
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে গুপ্তচরবৃত্তি, নজরদারি ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাজ্যের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা পার্লামেন্ট কমিটির হাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রশ্নে ২০১৬ সালের ঐতিহাসিক গণভোট এবং পরের বছর সাধারণ নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের চেষ্টার প্রমাণ তুলে দিয়েছে।
গত মার্চে ওই প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ হয় এবং গত ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তা পাঠানো হলেও সেটি প্রকাশের অনুমতি মেলেনি।
বিবিসি জানায়, গোয়েন্দা কমিটিতে থাকা এমপি’রা প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সেটি প্রকাশের উপযুক্ত সময় এখন নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে হিলারি বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার এখনই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে না জেনে তিনি ‘অত্যন্ত বিস্মিত’ হয়েছেন। তার মতে, এটি প্রকাশ করাটাই উচিত ছিল।
হিলারি বলেন, “কারণ সেখানে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই…আমরা আমাদের দেশেও এমনটা জেনেছি, আমরা ইউরোপে এমনটা দেখেছি, এখানেও সেটা দেখেছি। রাশিয়া পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপে বদ্ধপরিকর। আর সেটা আমাদের লাভের জন্য নয়, তাদের লাভের জন্য।”