মঙ্গলবার এসব স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিন বিস্তৃত পুলিশি তল্লাশিতে হংকংয়ের রেলস্টেশনগুলোতে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে; কর্তৃপক্ষ অনেক স্থানে রেল যোগাযোগ স্থগিত কিংবা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়েও দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে।
কয়েকমাস ধরে চলা সরকারবিরোধী এ সংঘর্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা এদিন বেইজিংপন্থি এক সমর্থকের গায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার হংকংয়ের পুলিশ জানিয়েছে, তারা শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ওই ঘটনাকে ‘হত্যাচেষ্টা’ হিসেবে বিবেচনা করছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
বিক্ষোভ ও সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে আশঙ্কায় কয়েক ডজন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্কুল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
অভিভাবকদের মোবাইলে পাঠানো বার্তায় তারা স্কুল বন্ধের কারণ হিসেবে ‘নিরাপত্তা শঙ্কা’কে দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
শহরটির ইংলিশ স্কুল ফাউন্ডেশন (ইএসএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “শিক্ষার্থী ও কর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ইএসএফ মঙ্গলবারের সব ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ পরিস্থিতিতে স্কুলে আসা উচিত হবে না।”
স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় তাদের প্রতিষ্ঠানের আশপাশে সহিংসতা ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ক্ষতি হতে পারে শঙ্কায় স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।