প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘকে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
Published : 05 Nov 2019, 10:39 AM
এ বিষয়ে জাতিসংঘকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষে করা বৈশ্বিক এই চুক্তিটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্নে এক বছর সময় লাগবে, ট্রাম্প প্রশাসনের ওই চিঠি সেই প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম পদক্ষেপ বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন শিল্পের ওপর লাল ফিতার দৌরাত্ম কমানোর লক্ষে বিস্তৃত একটি কৌশল প্রণয়ন করেছেন, ওই কৌশলের অংশ হিসেবেই প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিল যখন বৈশ্বিক উষ্ণতার সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব এড়ানোর জন্য বিজ্ঞানীরা ও বিশ্বের বহু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ তেল ও গ্যাস উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রই ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণের জন্য দায়ী। পাকাপাকিভাবে বের হয়ে যাওয়ার পর প্যারিস চুক্তির বাইরে থাকা একমাত্র দেশ হবে তারা।
সোমবার এক টুইটার পোস্টে চুক্তি ছাড়ার বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপের কথা নিশ্চিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সঙ্গে এমন দাবিও করেছেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধি করলেও যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণের মাত্রা কমিয়ে এনেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে পাঠানো মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্যারিস চুক্তি থেকে বের হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একদিন পর এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন ২০১৫ সালের এই চুক্তিটিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ওই সময় তারা ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ ২০০৫ সালের মাত্রা থেকে ২৬-২৮ শতাংশ হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্প ওই প্রতিশ্রুতি বাতিল করার অঙ্গীকার করেন। চীনের মতো অন্যান্য বড় দূষণকারীদের নির্গমণ বাড়ানোর সুযোগ রেখে এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মার্কিন অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দাবি করেন তিনি। চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার নোটিশ দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের আইনানুযায়ী ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বাধ্য ছিলেন তিনি।