উইঘুর নিপীড়নে চীনা কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

উইঘুর নিপীড়নে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত চীনা কর্মকর্তাদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

>>রয়টার্স
Published : 9 Oct 2019, 03:54 PM
Updated : 9 Oct 2019, 04:32 PM

উইঘুর মুসলমানদের দমন-পীড়নের অভিযোগে চীনের সরকারি-বেসরকারি ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার পর যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

উইঘুরদেরকে নিপীড়নের জন্য চীন সরকার এবং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির যেসব কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্র দায়ী বলে মনে করে তাদের ওপর ভিসায় নতুন এ কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয় মঙ্গলবার।

তবে তালিকায় কাদের বা মোট কত জনের নাম আছে সে বিষয়ে ওয়াশিংটন এখনই কোনো তথ্য দেয়নি বলে জানায় বিবিসি।

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশেই অধিকাংশ উইঘুর মুসলমানের বাস। চীনা কর্তৃপক্ষ সেখানে কয়েকটি ক্যাম্প বানিয়ে উইঘুর মুসলমানদের ধরে নিয়ে গিয়ে নানা অত্যাচার নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।

উইঘুর মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ দেশটির আরেক রাজ্য তিব্বতের মত স্বায়ত্তশাসিত।  সেখানকার অধিবাসীদের ৪৫ শতাংশই উইঘুর সম্প্রদায়ের, নৃতাত্ত্বিকভাবে যারা তুর্কি মুসলমান। প্রদেশটির দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ  অধিবাসী (৪০ শতাংশ) হান সম্প্রদায়ের।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, জিনজিয়াং প্রদেশে বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে আটকে রাখা হয়েছে।

যদিও চীন শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, ক্যাম্পগুলো ‘আটক কেন্দ্র নয় বরং স্বেচ্ছা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যেখানে উগ্রবাদ মোকাবেলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়’।

গত জুলাইয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ২০টির বেশি দেশ উইঘুর ও অন্যান্য মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর চীনের নিপীড়নের সমালোচনা করে লেখা একটি যৌথ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিল।