শনিবার সন্ধ্যায় পিয়ংইয়ং সাড়ে ৮ ঘণ্টার ম্যারাথন আলোচনাটি ব্যর্থ হয়েছে জানালেও কিছু সময় পরই ওয়াশিংটন তা প্রত্যাখ্যান করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সুইডেন দুই পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনার উদ্যোগ নেবে বলেও যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
“ডিপিআরকে (উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নামের সংক্ষিপ্ত রূপ) প্রতিনিধিদের করা কিছুক্ষণ আগের মন্তব্য আজকের সাড়ে ৮ ঘণ্টার আলোচনার বিষয়বস্তু কিংবা উদ্যমের প্রতিফলন ঘটায়নি। এবারের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র সৃজনশীল কিছু পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল এবং এগুলো নিয়ে ডিপিআরকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে,” বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগান ওর্টেগাস।
অন্যদিকে সুইডেনের বৈঠকে উত্তর কোরীয় প্রতিনিধিদলের নেতুত্ব দেওয়া কিম মিয়ং গিল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করেনি।
“তারা আলোচনার টেবিলে কিছুই হাজির করেনি। আলোচনা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, এবং চূড়ান্ত বিচারে ভেস্তে গেছে,” শনিবার সুইডেনের উত্তর কোরীয় দূতাবাসের বাইরে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন তিনি।
স্টকহোমের উত্তরপূর্বে লিদিংগো দ্বীপে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন উত্তর কোরিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিফেন বিগেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকটি কোনো চুক্তি ছাড়া শেষ হওয়ার পর এবারই প্রথম দুই দেশ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে এ উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয়েছিল।
এর আগে জুনে দুই কোরিয়ার ডিমিলিটারাইজ জোনে ট্রাম্প ও কিমের সাক্ষাতে দুই নেতা পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটন আলোচনা ফের শুরুর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
সুইডেনের বৈঠকে দুই পক্ষ আরেকটি ট্রাম্প-কিম শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে একমত হবেন বলে পর্যবেক্ষকরা আশা করেছিলেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার হারও বেড়ে গেছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহেও তারা সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতেই উত্তর কোরিয়া এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলো চালাচ্ছে বলেও ধারণা অনেকের।