বৃহস্পতিবারের এ ভূমিকম্পে দ্বীপটির ভবনগুলো কেঁপে উঠেছিল এবং কিছুক্ষণের জন্য রাজধানী তাইপের সাবওয়ে সার্ভিসগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল, কিন্তু তাৎক্ষণকিভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে স্কুল ভবনগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে নিতে দেখা গেছে।
চলতি বছরে এটিই দ্বীপটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের এক কর্মকর্তা।
ভূপৃষ্ঠের ১৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো। তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।
ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ৪ এবং এর উৎপত্তি হুয়ালিয়েন থেকে ১৫ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ।
তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তারা একটি দুর্যোগ মোকাবিলা কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে বিবেচনা করে চীন। দ্বীপটি দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের নিকটবর্তী হওয়ায় এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
২০১৬ সালে দ্বীপটির দক্ষিণাংশে এক ভূমিকম্পে শতাধিক লোক নিহত হয়েছিল। এর আগে ১৯৯৯ সালে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।