ইরানে হামলার ছক কষছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরাকে মার্কিন কূটনৈতিক মিশনে হামলার বদলায় ইরানে হামলার ছক কষছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে পেন্টাগনকে ইরানে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা সাজাতে বলেছে হোয়াইট হাউজ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2019, 01:24 PM
Updated : 14 Jan 2019, 01:24 PM

প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  গত সেপ্টেম্বরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্থাপনার কাছে ইরান-সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের দুইবার মর্টার ও রকেট হামলার ঘটনার জেরে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে।

সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিকল্পনা করা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সদরদপ্তর পেন্টাগনের নিয়মিত কাজেরই অংশ। কিন্তু এবার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল (এনএসসি) থেকে যতটা গুরুত্বের সঙ্গে এ অনুরোধ করা হয়েছে তাতে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র কর্মকর্তারা বিচলিত হয়ে পড়েছেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর শিয়া মিলিশিয়াদের একটি দল বাগদাদের কূটনৈতিক পাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছে তিনটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করে। এর কয়েকদিন পর ইরাকের দক্ষিণের নগরী বসরায় অজ্ঞাত মিলিশিয়ারা যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

যদিও দুটি হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে ওই দুইটি ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনকে সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এর জবাবে ইরানে সামরিক হামলাসহ এ ধরনের কোনো শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে চায়। আর সেকারণেই পেন্টাগনকে পরিকল্পনা করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

পেন্টাগন অনুরোধ আমলে নিলেও হোয়াইট হাউজকে ইরানে হামলার কোনো পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে কিনা কিংবা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি জানেন কি না তা জানা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে সরাসরি আক্রমণ করে তবে চরম বৈরী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার ঝুঁকি আছে, যেটা থামানো খুব কঠিন হয়ে যাবে। মুখোমুখি অবস্থানে থাকা দুই দেশ নিজেদের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রোববারের প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলার জন্য ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মধ্যপ্রাচ্যের ৯ টি দেশ সফরের অংশ হিসেবে রোববার কাতার থেকে সৌদি আরবে যান পম্পেও।