বিমানবন্দরে আটকা সৌদি নারীকে ফেরত না পাঠানোর অনুরোধ এইচআরডব্লিউর

পরিবারের কাছ থেকে পালানো সৌদি নারীকে বিমানবন্দর থেকে কুয়েতে ফেরত না পাঠাতে থাইল্যান্ডের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2019, 06:49 AM
Updated : 7 Jan 2019, 06:49 AM

সোমবার স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুন নামের ওই সৌদি নাগরিককে তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।

ফেরত পাঠালে পরিবারের সদস্যরা তাকে ‘হত্যা করতে পারে’ এ আশঙ্কার কথা জানিয়ে রোববার টুইটারে ছবিসহ পোস্ট দিয়েছিলেন ১৮ বছরের এ তরুণী।

বিশ্ব গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর সোমবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) রাহাফকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা বাদ দিতে থাইল্যান্ডকে অনুরোধ করে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

পরিবারের সঙ্গে কুয়েত ভ্রমণে থাকার সময় পালানো এ সৌদি নারী আশ্রয় প্রার্থনার জন্য ব্যাংকক হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন।

ব্যাংকক বিমানবন্দরে সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক তার সঙ্গে দেখা করে তার পাসপোর্ট নিয়ে নেয় বলে দাবি রাহাফের।

কুয়েতে ফেরত পাঠানো হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে সৌদি আরবে নিয়ে গিয়ে হত্যা করবে বলে আশঙ্কা এ নারীর।

“আমার ভাই ও পরিবারের সদস্যরা এবং সৌদি দূতাবাস কুয়েতে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তারা আমাকে মেরে ফেলবে। আমার জীবন বিপন্ন। আমার পরিবার আমাকে তুচ্ছ সব কারণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে,” রোববার রয়টার্সকে দেওয়া অডিও ও লিখিত মেসেজে এমনটাই বলেন রাহাফ।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পরিচালক মাইকেল পেইজ সোমবার এক বিবৃতিতে ‘বিপদের মুখে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক সৌদি নারীকে’ ফেরত পাঠানো থাইল্যান্ডের উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন।

“থাই কর্তৃপক্ষের এখনি (রাহাফকে) ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা বাদ দেয়া উচিত। তাদের উচিত হয় তাকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া, না হলে শরণার্থী হিসেবে কয়েকদিনের জন্য আশ্রয় দেওয়া,” ভাষ্য এ এইচআরডব্লিউ কর্মকর্তার। 

রোববার টুইটারে দেওয়া পোস্টে রাহাফ বলেছিলেন, তাকে বিমানবন্দরের ভেতরে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে।

সৌদি ও কুয়েত দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাকে দেখে গেছেন বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

পাসপোর্টে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা থাকলেও পরিবারের চোখে ধুলো দিতে কয়েকদিন চিকিৎসার জন্য খ্যাত থাইল্যান্ডে কাটানোর পরিকল্পনা ছিল বলে জানান এ নারী; সে কারণেই অন অ্যারাইভাল ভিসা চেয়েছিলেন।

থাই কর্মকর্তারা বলছেন, রাহাফের বিষয়ে তারা সৌদি সরকারের পক্ষাবলম্বন করছেন না।

হোটেল রিজার্ভেশন ও রিটার্ন টিকেটের মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় শনিবার রাতে নিয়ম অনুযায়ীই ১৮ বছরের ওই সৌদি নাগরিককে অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া দেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।