নতুন বছরের ছুটির আগে অতিরিক্ত দিবসে মঙ্গলবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে থাইল্যান্ডের ‘নরকোটিক অ্যাক্ট অব ১৯৭৯’ সংশোধনী প্রস্তাব ভোটে পাশ হওয়াতেই অনুমোদন পেয়েছে গাঁজার ব্যবহার। অধিবেশনটি টেলিভিশনে সরাসরি প্রচার করা হয়।
বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেই মাদকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর আইন প্রচলিত। তবে থাইল্যান্ডে ১৯৩০ এর দশক পর্যন্ত ব্যাথা নাশক হিসেবে এবং অবসাদ দূর করতে গাঁজার ব্যবহারের চল ছিল। পরে ১৯৩৫ সালে গাঁজা সেবন, পরিবহন কিংবা বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল৷
সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় গাঁজা পাচারকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। থাইল্যান্ডেও কঠোর আইনের কারণে রোগীদের ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের জন্য বা গবেষণা কাজে গাঁজা জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বিদেশি কোম্পানিগুলোই মূলত এতদিন বাজার নিয়ন্ত্রণ করত।
তবে মঙ্গলবার থাইল্যান্ডে নতুন করে গাঁজার ওই অনুমোদন বিনোদনমূলক ক্ষেত্রেও মাদকটি ব্যবহারের বৈধতাদানের পথে প্রথম পদক্ষেপ বলে ধারণা করছেন অনেকে।