চীন-রাশিয়াকে মোকাবেলায় অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কিনছে জাপান

আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীন ও রাশিয়ার নানা চ্যালেঞ্জের মুখে আগামী পাঁচ বছরে অত্যাধুনিক স্টিলথ যুদ্ধবিমান, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করেছে জাপান।

>>রয়টার্স
Published : 18 Dec 2018, 04:25 PM
Updated : 18 Dec 2018, 04:25 PM

নতুন দুটি সরকারি প্রতিরক্ষা বিষয়ক নথির উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার জাপানের এ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে জাপানের আঞ্চলিক শক্তিধর দেশ হয়ে ওঠার আগ্রহই প্রকাশ পেয়েছে। কারণ, সাগরাঞ্চলে জাপানের কাছে চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং রাশিয়া পুনরায় শক্তি অর্জন করতে থাকায় জাপানের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ হিসেবে জাপানকে এসব দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।

মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সরকার দেশে আগামী এক দশকের প্রতিরক্ষা প্রকল্প পরিকল্পনার খসড়ায় অনুমোদন করেছে।

এ পরিকল্পনায় বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীন ও রাশিয়ায় উভয়ই যেভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে তাতে কৌশলগত এই প্রতিযোগিতার ‍গুরুত্ব আমরা অনুধাবন করতে পারছি।”

বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ চীন সমুদ্রে জাপানের ভূখণ্ডের কাছে আরো বেশি জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাহারার জন্য মোতায়েন করেছে। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া এখনও তাদের পরমাণু অস্ত্র প্রকল্পের কাজ বন্ধের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি, যা জাপানের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওদিকে, রাশিয়াও জাপানের আকাশ প্রতিরক্ষার শক্তি পরীক্ষা করে চলেছে। দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে জাপানের কাছ থেকে দখল করা দ্বীপপুঞ্জে সেনাদের জন্য নতুন ব্যারাক স্থাপন করা হবে বলে সোমবার জানিয়েছে রাশিয়া।

জাপান তাদের নতুন প্রতিরক্ষা প্রকল্প অনুযায়ী, চারশ’ কোটি মার্কিন ডলারে যুক্তরাষ্ট্রর কাছ থেকে ৪৫টি ‘লকহিড মার্টিন কর্প’ এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছে।

এছাড়া, অন্য একটি অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় দেশটি এরই মধ্যে ৪২টি জঙ্গিবিমানের অর্ডার দিয়েছে। তারা পূর্ব চীন সাগরের প্রান্তে অবস্থিত জাপানি দ্বীপগুলোর প্রতিরক্ষায় ১৮টি ‘শর্ট টেক অফ অ্যান্ড ভার্টিকাল ল্যান্ডিং বি’ এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান মোতায়েনের পরিকল্পনাও করেছে।

এগুলোর সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে দু’টি রাডারও কিনবে জাপান। যুদ্ধবিমানে জ্বালানি সরবরাহের জন্য দু’টি বোয়িং বিমানসহ টহলদারির জন্যও জাপান আরো কয়েকটি বিমান কিনবে।