আসাদ আহমাদ বারাকাতের বিরুদ্ধে প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনায় পরিচয় চুরি এবং মুদ্রাপাচারের অভিযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসীর’ তালিকায় থাকা লেবাননের এ নাগরিক ইসরায়েলবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ‘কোষাধ্যক্ষ’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
ব্রাজিল পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনা সীমান্তের নিকটবর্তী শহর ফজ দো ইগুয়াচু থেকে বারাকাতকে আটক করা হয়।
জলপ্রপাত ও নানান আকর্ষণীয় স্থানের জন্য এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হলেও মাদক চোরাচালানের জন্য এর কুখ্যাতি আছে।
আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও ব্রাজিল সীমান্তের এ ‘ট্রিপল ফ্রন্টিয়ারে’ আরব জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়, যে কারণে এখানে হিজবুল্লাহর তৎপরতা নিয়েও ওয়াশিংটন বেশ উদ্বিগ্ন।
কর ফাঁকির অভিযোগে ছয় বছর প্যারাগুয়ের কারাগারে ছিলেন বারাকাত। ২০০৮ সালে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও চিলিজুড়ে তার কর্মকাণ্ড বিস্তৃত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হিজবুল্লাহর এ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে প্যারাগুয়েতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নাকি ব্রাজিলেই তার বিচার হবে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তৃর্ণ এলাকায় পাচার ও মাদক চোরাচালানি কার্যক্রমের সঙ্গে এ হিজবুল্লাহ কর্মকর্তার যোগসাজশ আছে বলেও ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের।
“ত্রিদেশীয় সীমান্ত এলাকায় আসাদ আহমাদ বারাকাতের নেটওয়ার্ক লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ধমনী,” বলেন মার্কিন ট্রেজারি কার্যালয়ের বিদেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অ্যাডাম জুবিন।
২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় লেবাননের এ নাগরিককে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসীর’ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে।