ইথিওপিয়ায় আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৪০

জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ইথিওপিয়ার পূর্বাঞ্চলে অন্তত ৪০ জনকে হত্যা করেছে একটি প্রাদেশিক আধাসামরিক বাহিনী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2018, 04:08 AM
Updated : 14 August 2018, 04:41 AM

ঊর্ধ্বতন এক আঞ্চলিক কর্মকর্তা সোমবার এ সংবাদ জানিয়েছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির সোমালি ও ওরোমিয়া প্রদেশের সীমান্ত এলাকা বরাবর প্রথম জাতিগত অস্থিরতা শুরু হয়েছিল। ওই অস্থিরতা চলাকালে প্রায় ১০ লাখ লোক এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে সহিংসতা প্রায় থেমে গিয়েছিল।

সোমবার ওরোমিয়া আঞ্চলিক প্রশাসনের মুখপাত্র নেগেরি লেনচো জানিয়েছেন, ব্যাপক অস্ত্রে সজ্জিত সোমালি অঞ্চলের আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা প্রাদেশিক সীমান্ত অতিক্রম করে ওরোমিয়ার পূর্ব হারারগে জেলায় হামলা চালিয়েছে।

“আমরা এখনো জানিনা কেন লিয়ু বাহিনী শনি ও রোববার ওই এলাকাগুলোতে হানা দিয়েছে। তবে আমরা জানি যে যারা নিহত হয়েছেন তারা সবাই ওরোমো নৃগোষ্ঠীর লোক। ওই হামলাগুলোয় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে,” বলেছেন তিনি।

এক সপ্তাহ আগে সোমালি অঞ্চলের রাজধানী জিজিগায় সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর সম্পত্তিতে লুটপাট চালিয়েছিল উচ্ছৃঙ্খল জনতা।

ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ওই অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্ত করে দেখতে চাইলেও স্থানীয় আঞ্চলিক কর্মকর্তারা সহযোগিতা না করে বরং অস্থিরতায় ইন্ধন যোগাচ্ছেন। 

ওরোমিয়ার মুখপাত্র লেনচো পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার ওরোমিয়ার কর্মকর্তাদের পদত্যাগে বাধ্য করতে অবৈধভাবে চাপ সৃষ্টি করছে, তাদের নির্দেশেই লিয়ু বাহিনী এ হামলায় অংশ নিয়েছে।

লিয়ু বাহিনীকে সোমালির পদত্যাগকারী আঞ্চলিক নেতা আব্দি মোহাম্মদ ওমেরের অনুগত বলে মনে করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সোমালি আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

২০১৫ সালে ওরোমিয়া অঞ্চলে ভূমির অধিকার নিয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। দুই বছর ধরে ওই অন্দোলন চলার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কয়েকশ লোক নিহত হয়েছিল। 

ইথিওপিয়ার ১০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে আরব, আফ্রিকানসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোক আছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে সংস্কারবাদী আবয়ি আহমেদ দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর মুখোমুখি হওয়া অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর মধ্যে এই জাতিগত সহিংসতার বিষয়টিই তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।