ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা, জার্মান নাগরিক নিখোঁজ

ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার পর আক্রান্ত এলাকাগুলো থেকে প্রায় এক হাজার ৬০০ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2018, 04:50 AM
Updated : 10 August 2018, 05:41 AM

গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে বনের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান করা ক্যাম্পাররা ঝড়ের পর হঠাৎ সৃষ্ট পানির ঢলে আটকা পড়লে তাদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পারদের অনেককে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও জার্মানির ৭০ বছর বয়সী এক নাগরিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি।   

সান-জুলিয়া-দা-পেয়োলায় গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে আসা ১১৯টি শিশুর তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করছিলেন ৭০ বছর বয়সী ওই জার্মান। স্রোতের হাত থেকে বাঁচতে নিজের ক্যারাভানে আশ্রয়ও নিয়েছিলেন; গাড়িটি পরে ভেসে যায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ক্যাম্পটির সব শিশুকেই উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। নিখোঁজ জার্মানের সন্ধানে ডুবুরি মোতায়েন করা হয়েছে।

আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ইউরোপজুড়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যেই ফ্রান্সের দক্ষিণে আকস্মিক এ বন্যার দেখা মিলল।

আক্রান্ত এলাকাগুলোর মধ্যে গেয়া, আরদেশ ও ধোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে ৪০০-রও বেশি দমকলকর্মী ও পুলিশের পাশাপাশি চারটি হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি ছয়টি বিভাগে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ফরাসী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

“আমরা জানতাম একটি ঝড় আসছে, কিন্তু গত রাতের ঝড়ের হিংস্রতা যে এমন হবে তা ধারণাতেও ছিল না,” বলেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে আরদেশ নদীর কাছে ক্যাম্পিংয়ে আসা র‌্যাচেল বুকানান।

ঝড়ের পর নদীটির পানির গতি ও মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায় বলেও জানান তিনি।

“প্রায় এক ফুট পানির মধ্যে ঘুম থেকে জেগে উঠি আমরা,” বলেন শেষ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসা র‌্যাচেল।