এখনও আরও চার কিশোর এবং তাদের কোচ গুহার ভেতরে আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা তাদের মঙ্গলবার বের করে আনার পরিকল্পনা করেছেন।
থাই নৌবাহিনী তাদের ফেইসবুক পাতায় সোমবার আরও চার কিশোরকে উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করেছে।
কিশোর ফুটবল দলটি ১৬ দিন আগে উত্তরের প্রদেশ চিয়াং রাইয়ের ওই গুহাতে প্রবেশের পর আটকা পড়ে গিয়েছিল।
রোববার কিশোরদের গুহা থেকে বের করে আনা শুরু হয়। ওই দিন চারজনকে বের করার পর নতুন করে প্রস্তুতি নিতে অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা (০৪:০০ জিএমটি) থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ডুবুরিরা।
রোববারের তুলনায় এদিন উদ্ধার কাজের জন্য ডুবুরির সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। যদিও ১৩ জন বিদেশি এবং পাঁচজন থাই ডুবুরিই গুহা থেকে কিশোরদের বের করে আনার মূল কাজটি করছেন বলে জানায় বিবিসি।
এদিকে রোববার রাতেও চিয়াং রাই প্রদেশে ভারি বর্ষণ হয়েছে। যে কারণে গুহার ভেতরে থাকা কিশোরদল ও তাদের কোচকে নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। যদিও বৃষ্টির কারণে গুহার ভেতরে পানির লেভেলে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানান থাই কর্তৃপক্ষ। বরং রোববারের তুলনায় সোমবার গুহার ভেতরের পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল বলে জানান উদ্ধারকর্মীরা।
গত ২৩ জুন নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে এক কিশোরের জন্মদিন উদযাপন করতে ১২ সদস্যের ওই কিশোর ফুটবল দল এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ উত্তরের চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশ করে।
নিখোঁজ হওয়ার ১০দিনের মাথায় দুই ব্রিটিশ ডুবুরি দলটির সন্ধান পায়। ওই কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
রোববার থেকে কিশোরদের বের করে আনতে শুরু করেন ডুবুরিরা। ওই দিন চার কিশোরকে বের করে আনা সম্ভব হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় এবং ডুবুরিদের নতুন করে গুহায় প্রবেশের প্রস্তুতি নিতে ওই দিন অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল।
সোমবার উদ্ধার কিশোরদেরও একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঠান্ডাজনিত কিছু সমস্যায় ভুগলেও তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানান উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা।
কিশোরদের গুহা থেকে বের করে আনার পুরো অভিযানে ৫০জন বিদেশি এবং থাইল্যান্ড নৌবাহিনীর ৪০ জন ডুবুরি সরাসরি অংশ নিচ্ছেন।
তাদেরকে সময়ের বিপরীতে লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ দেশটিতে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভারি বর্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঝড়োবৃষ্টিও হতে পারে।
পরদিন সকাল থেকে কিশোরদের বের করে আনতে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয়। যাকে ‘ডি-ডে’ বলে বর্ণনা করেন উদ্ধার অভিযানের প্রধান নারংসাক ওসোটানাকোরন।