রয়েল হাউসের ঘোষণার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার কোপেনহেগেনের উত্তরে ফ্রেডেনসবুর্গ দুর্গে ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থায় ঘুমের মধ্যে’ তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় রানি মার্গারেথ ও তাদের দুই পুত্র তার পাশে ছিলেন।
জীবনের শেষ দিনগুলো পার করার জন্য প্রিন্সকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ওই দুর্গে নেওয়া হয়েছিল।
ফুসফুসের সংক্রমণজনিত কারণে গত মাসের শেষের দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর আগে ২০১৭ সালে তার স্মৃতিভ্রংশতার চিকিৎসা হয়েছিল।
১৯৩৪ সালে ফ্রান্সে তার জন্ম হয়। তার পুরো নাম হেনরি ম্যারি জাঁ আন্দ্রে দ্য ল্যাবর্ড দ্য মনপেজা। ১৯৬৭ সালে তিনি তৎকালীন ডেনিশ রাজকুমারি মার্গারেথকে বিয়ে করেন।
১৯৭২ সালে মার্গারেথ ডেনমার্কের রানি হওয়ার পর প্রিন্স হেনরিককে রাজা উপাধি দেওয়া হয়নি; এতে হেনরিক অসন্তুষ্ট হন এবং নিজের অসন্তোষের কথা খোলাখুলি প্রকাশ করেন।
হেনরিক খাঁটি ফরাসি উচ্চারণে কথা বলতেন। পাশাপাশি খাবার, ওয়াইন ও কবিতার প্রতি ভালবাসার জন্যও পরিচিত ছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে প্রিন্স কনজোর্ট উপাধি ত্যাগ করে দাপ্তরিক দায়িত্ব থেকে অবসর নেন তিনি। তারপর থেকে অধিকাংশ সময় ফ্রান্সে নিজের ব্যক্তিগত আঙুরের খামারেই সময় কাটাতেন তিনি।
রাজকীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রানির সমকক্ষ না করার অসন্তোষের কারণে গত বছর রানি মার্গারেথের পাশে গোরস্থ না হওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি।
৭৭ বছর বয়সী রানি জানিয়েছেন, তিনি তার স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।
এতে প্রথমবারের মতো ডেনমার্কের ৪৫৯ বছরের পুরনো রাজকীয় ঐতিহ্যের লঙ্ঘন ঘটে।
প্রিন্স হেনরিক ও রানি মার্গারেথের দুটি সন্তান, দুটিই পুত্র। এদের একজন ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডেরিক ও অপরজন প্রিন্স জোয়াকিম।
অসুস্থ বাবার পাশে থাকার জন্য গত সপ্তাহে পিয়ংচ্যাংয়ের শীতকালীন অলিম্পিক থেকে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডেরিক।