জ্যামাইকায় জরুরি অবস্থা: ব্রিটিশ পর্যটকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ

ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকার মন্টেগো বে-তে জরুরি অবস্থা জারির পর সেখানে অবস্থান করা ব্রিটিশ পর্যটকদের তাদের অবকাশ কেন্দ্রের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2018, 09:51 AM
Updated : 20 Jan 2018, 10:04 AM

বেশ কয়েকটি‘গোলাগুলির ঘটনার’ পর জ্যামাইকা সরকার সেইন্ট জেমস এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এরপর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জ্যামাইকায় থাকা নাগরিকদের ‘বড় ধরণের সামরিক অভিযান চলার সময়’ হোটেল কিংবা রিসোর্টের ভেতরেই থেকে চলাচল সীমিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ ব্রিটিশ পর্যটক ক্যারিবীয় এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে পা রাখে।

“নির্দিষ্ট জায়গার বাধ্যবাধকতাসহ স্থানীয় পরামর্শ মেনে চলা উচিত পর্যটকদের। রাতে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখা উচিত। তাদের রিসোর্টের ভেতর থাকা উচিত ও নিরাপত্তা গণ্ডির বাইরে ভ্রমণ সীমিত করা উচিত,” বলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।

বৃহস্পতিবার জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস এক ঘোষণায় বলেন, জনগণের নিরাপত্তা পুনর্বহালে জরুরি অবস্থা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল রকি মিয়েডি বলেন, “আপনারা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রশিক্ষণে বাহিনীর সদস্যরা মানবাধিকার এবং নাগরিকদের সঙ্গে সংযোগের বিষয়টি ঝালাই করে নিয়েছে।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদক সিমন কেলডার জানান, জ্যামাইকার সরকার যে এলাকায় জরুরি অবস্থা দিয়েছে সেখানে সংঘবদ্ধ অপরাধের পরিমাণ ‘তীব্র আকার ধারণ করেছে’।

“গত বছর সেখানে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ছয়জন খুন হয়েছেন; এ বছরের শুরু থেকে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে,” রেডিও ফাইভ লাইভকে বলেন কেলডার।

জ্যামাইকার দৈনিক গ্লেনার জানায়, ২০১৭ সালে সেইন্ট জেমস এলাকায় ৩৩৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।

এ বছরের প্রথম ছয়দিনেই সেখানে ৩৮টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলেও ধারণা তাদের। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা অবশ্য অনেক কম। ২০১৭ সালে একই সময়ে সেইন্ট জেমসে ২৩টি হত্যাকাণ্ড হয় বলে গ্লেনার জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকদের জ্যামাইকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ায় হলিডে ফার্মগুলো চাইলে পর্যটকদের ক্যারিবীয় দ্বীপটির ভেতরেই অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে বলেও মন্তব্য কেলডারের।

“আগে কখনোই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ধরণের (ঘরের ভেতরে থাকা) পরামর্শ দিতে দেখিনি। সাধারণত যুক্তরাজ্যের সরকার (কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে নাগরিকদের) ‘ঠিক আছে’ বলে, কিংবা বলে ‘যেও না’,” বলেন তিনি।