ডুবন্ত মানুষের জীবন রক্ষায় ড্রোনের ব্যবহার এই প্রথম বলে জানিয়েছে বিবিসি।
লেনক্স হেড উপকূলে সাঁতার কাটতে নামা ওই দুই কিশোরের বয়স ১৫ থেকে ১৭।
সৈকতে থাকা এক ব্যক্তি উপকূল থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে ওই দুই কিশোরকে প্রকাণ্ড ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করতে দেখে ‘লাইফগার্ডদের’ খবর দেন।
তারা সঙ্গে সঙ্গে একটি ড্রোনে করে একটি ‘পড’ (খোলার সঙ্গে সঙ্গে নিজে থেকেই বাতাস পূর্ণ হয়ে ভেসে থাকতে পারে) সেখানে পাঠায়।
ওই পড ধরে দুই কিশোর নিরাপদে সৈকতে পৌঁছায়।
উদ্ধারের এই পন্থার প্রশংসা করে নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের উপপ্রধান জন বারিলারো স্থানীয় একটি পত্রিকাকে বলেন, “ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধারে ড্রোনের ব্যবহার আগে কখনও হয়নি।”
লাইফগার্ড সুপারভাইজার জয় শ্রীদান এ অভিজ্ঞতাকে অবাস্তব বর্ণনা করে বলেন, “আজ হঠাৎ করেই দ্য লিটল রিপার ইউএভি নিজেকে প্রমাণ করেছে। জীবন রক্ষার যন্ত্র হিসেবে এটি অসাধারণ এক সংযোজন। “
এক বা দুই মিনিটের মধ্যে ড্রোনটি উড়তে শুরু করে এবং ঘটনাস্থলে উড়ে গিয়ে একটি পড ফেলে দুর্গতদের উদ্ধারে সাহায্য করে। সব মিলিয়ে সেটির সর্বোচ্চ তিন মিনিট সময় লেগেছে।”
ড্রোনে থাকা ক্যামেরায় পুরো উদ্ধার অভিযান ভিডিও হয়েছে।
সৈকতে উদ্ধার অভিযানে ড্রোন ব্যবহার প্রকল্পে গত বছর ডিসেম্বরে নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে।