শনিবার রাতে ২৮ বছর বয়সী ট্র্যাক পলিন তার বাবা-মায়ের আলাস্কার বাড়ির জানালা দিয়ে ভেতরে ঢোকেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ট্র্যাকের বিরুদ্ধে তার বাবা টড পলিনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করার অভিযোগ আছে।
আটক পলিনপুত্রের দাবি, ঘটনার সময় তিনি ব্যাথার ওষুধ সেবন করেছিলেন এবং নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
২০১৬ সালে বান্ধবীকে ঘুষি মারার অভিযোগেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি। মাতাল অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায় স্বীকারের পর সেবার তার বিরুদ্ধে আনা অন্যসব অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়।
পুলিশের নথির বরাত দিয়ে ‘লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস’ পত্রিকা জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে সারাহ পলিন পুলিশকে ফোন করে তার ছেলের ‘কোনো ধরণের ওষুধের প্রভাবে উন্মত্ত আচরণ’ করার কথা জানান।
পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গে ট্র্যাকের বাকবিতণ্ডা হয়, এক পর্যায়ে গ্যারেজের ছাদ থেকে পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র মাটিতে নামিয়ে রাখতে বলেন পলিনপুত্র।
এসময় তিনি পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
টেলিফোনে বাবা-ছেলের কথা কাটাকাটির পর মারধরের এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ট্র্যাক ফোন করে আলাস্কার বাড়ি থেকে একটি গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তার বাবা নিষেধ করেন। পলিনপুত্র তখনই বাবার ওপর হামলার হুমকি দেন।
ছেলে বাড়ি আসার পর তার দিকে পিস্তল তাক করেছিলেন টড। ট্র্যাক গুলি চালাতে বললেও তিনি তা করেননি। পরে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে ট্র্যাক তার বাবার পিস্তল কেড়ে নেয় এবং মারধর করে।
লস এঞ্জেলেস টাইমস জানায়, এ ঘটনায় সারাহ মুষড়ে পড়েছিলেন। তাকে এবং রক্তাক্ত টডকে আলাদা আলাদা গাড়ি নিয়ে চলে যেতে দেখেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ।
পুলিশের হেফাজতে থাকা ট্র্যাক পলিনের বিরুদ্ধে ছিচকে চুরি, রক্তপাত ঘটানো ও অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে পলিন পরিবার জানিয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে পরিবারের সদস্যরা কোনো মন্তব্য করবে না। বিবৃতিতে পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষায় মার্কিন গণমাধ্যমগুলোকে অনুরোধও জানানো হয়েছে।