৩১ বছর বয়সী জেবাস্টিয়ান কুর্তসের নেতৃত্বাধীন ওভিপি রোববারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয় পেলেও এককভাবে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বলে খবর বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
দ্বিতীয় স্থান নিয়ে এসপিওর সঙ্গে চরম-ডানপন্থি ফ্রিডম পার্টির (এফপিও) তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। সোমবার ভোট গণনার পর কোনো এক দলের দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত হওয়ার ওপরই কোয়ালিশন সরকার গঠনের আলোচনা নির্ভর করছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
এই জয়ের মাধ্যমে ওভিপির কুর্তস অস্ট্রিয়ার পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে তরুণ জাতীয় নেতা হতে যাচ্ছেন।
ওভিপি ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দলটি অপর অভিবাসন-বিরোধী দল এফপিও-র সঙ্গে জোট গঠন করে সরকার গঠন করতে পারে।
জরিপে দেখা গেছে, চরম ডানপন্থি এফপিও এবারের নির্বাচনেই সবচেয়ে ভালো ফলাফল করতে যাচ্ছে, দলটি ২৬ দশমিক নয় শতাংশ ভোট পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এফপিও-র এই সাফল্যে ইউরোপে চরম-ডানপন্থিদের দিন শেষ হয়ে যায়নি বলে প্রমাণ হয়েছে। ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসে চরম-ডানপন্থিদের শোচনীয় পরাজয়ের পর ইউরোপের তাদের আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করা হচ্ছিল।
কিন্তু গতমাসে প্রতিবেশী জার্মানিতে চরম-ডানপন্থিরা বড় ধরনের সাফল্য পাওয়ার পর অস্ট্রিয়ায়ও তাদের সাফল্যে সেই ধারণা ভুল প্রমাণ হচ্ছে।