রোববার উত্তরপূর্ব কিজু এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ এ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানোর স্বীকৃতি এলো।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে চালানো পঞ্চম পারমাণবিক পরীক্ষা থেকে এবারেরটি ৯ দশমিক ৮ গুণ বেশি শক্তিশালী বলে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ-র বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
পিয়ংইয়ং বলছে, তাদের পরীক্ষা চালানো হাইড্রোজেন বোমাটি আনবিক বোমার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার দাবি নিয়ে সন্দেহ থাকলেও দেশটির পারমাণবিক সক্ষমতা যে বাড়ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
সকালে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ ‘আরও উন্নত প্রযুক্তির হাইড্রোজেন বোমা’ তৈরির দাবি করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানগেয়ি-রি পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছেই ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূ-কম্পনের খবর দেয় দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।
চীনের আর্থকোয়াক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও উত্তর কোরিয়ার ভূমিকম্প ‘বিস্ফোরণের কারণে’ সৃষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করছে। প্রথম কম্পনের পর ৪ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি কম্পনের কথাও বলছে তারা, যেটি প্রথমটির ‘পরাঘাত’।
প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-জরিপ অধিদপ্তর ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৬ মাত্রার বললেও পরে সেটি বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার করা হয়। কম্পনের শক্তির কারণে একে উত্তরের চালানো সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
কম্পনের পরপরই জরুরি বৈঠকে বসে দক্ষিণ কোরিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিল। জাপানের প্রধানমন্ত্রী এই পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছেন। তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনটি সামরিক বিমান ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট বিকিরণ মাপতে রওনা হয়েছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ পারমানবিক পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। এরপরও তারা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মাত্রার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে।
গত সপ্তাহে তাদের ছোড়া হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে।