তবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনই ডেমক্রেট দলীয় মনোনয়নের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন না বলে বৃহস্পতিবার অনলাইনে দেওয়া এক বক্তব্যে জানিয়েছেন।
নিজের দেওয়া বক্তব্যে স্যান্ডার্ হিলারির প্রতি সমর্থন ঘোষণা না করলেও তার উদারনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায়ে আন্দোলন তৈরি এবং তা ডেমক্রেটিক পার্টির মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লড়াইয়ের ব্যাপারে মনযোগ নিবদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
ভারমন্টের সিনেটর স্যান্ডার্স বলেন, “আগামী পাঁচমাসে আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দায়িত্বের মুখোমুখি হবো তা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় নিশ্চিত করা, শোচনীয়ভাবে পরাজিত করা, এবং স্বল্পসময়ের মধ্যেই এই প্রক্রিয়ায় আমি আমার ব্যক্তিগত ভূমিকা রাখার আশা করছি।”
ভারমন্টে নিজের শহর বার্লিংটন থেকে সম্প্রচারিত হওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি ডেমক্রেটিক পার্টিকে রূপান্তরের ব্যাপারে ক্লিনটনের (হিলারি) সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি, যেন এই পার্টি শ্রমজীবী ও তরুণদের দলে পরিণত হয়, শুধু ব্যয়বহুল প্রচারমুখী বিত্তবান দাতাদের দলে পরিণত না হয়।”
গেল সপ্তায় হিলারি ক্লিনটন নিজেকে ডেমক্রেট পার্টির মনোনীত প্রার্থী বলে দাবি করার পর থেকে স্যান্ডার্সের উপর মনোনয়নের দৌড় থেকে সরে যাওয়ার চাপ বাড়ছে। কিন্তু তিনি তা প্রতিরোধ করে আসছেন।
তিনি বলেন, আয়ের অসাম্য, রাজনীতি ও ওয়াল স্ট্রিটে বিশাল টাকার খেলা বন্ধের যে লক্ষ্য তার রয়েছে তিনি তারজন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না। আমেরিকাকে গড়ে তুলতে আমাদের অবশ্যই তৃণমূল পর্যন্ত উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা জানি, আমরা সেটা পারি।”
তিনি আরো বলেন, “ফিলাডেলফিয়ায় ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ডেমক্রেট দলীয় জাতীয় কনভেনশন পর্যন্ত আমাদের শক্তি ধরে রাখতে হবে যেখানে আমরা ১,৯০০’রও বেশি ডেলিগেট ভোট পেতে পারি।”
এদিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেলিগেট ভোট জয় করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে ডেমক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন হিলারি ক্লিনটন।
ডেমক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২,৩৮৩টি ডেলিগেট ভোট জিতে নিয়েছেন হিলারি। এতে হিলারি দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মনোনয়ন নিশ্চিত হলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কোনো রাজনৈতিক দল থেকে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। এ পর্যন্ত আসতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের ২২৭ বছর লাগল।