চীনে কোভিডের বর্তমান ঢেউ ‘শেষের পথে’

দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ দাবি করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2023, 02:06 PM
Updated : 30 Jan 2023, 02:06 PM

গত ডিসেম্বরে ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে যাওয়ার পর চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে।

তবে এখন গুরুতর আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর হার দুইই কমতে শুরু করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি)।

লুনার নিউ ইয়ার (চীনা নববর্ষ) উপলক্ষে গত ২২ জানুয়ারি থেকে চীনে এক সপ্তাহের লম্বা ছুটি ছিল। এই ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে দেশটির কোটি কোটি মানুষ ভ্রমণ করেছেন।

লুনার নিউ ইয়ারের পর সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ‘সুস্পষ্টভাবে তেমন কিছু দেখা যায়নি’ বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘‘এ সময়ে করোনাভাইরাসের নতুন কোনো ধরণ শনাক্ত হয়নি। এবং দেশে বর্তমানে কোভিডের যে ঢেউ চলছে সেটিও শেষ হওয়ার পথে।”

যদিও চীন সরকার সে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানাচ্ছেন কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে।

তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন থেকে যে সময়ে সংক্রমণ হ্রাসের ধারা শুরু হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেই সময়েই দেশটিতে সংক্রমণ কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরাও পূর্বানুমান করেছিলেন।

বিবিসি জানায়, চীনে ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে জ্বর আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। আর হাসপাতালে ভর্তির হার কমেছে ৮৫ শতাংশ।

দৈনিক মৃত্যুর হারও ‍অনেকখানি কমে গেছে। গত ৪ জানুয়ারি দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪,৩০০ জনের মৃত্যু হয়। ২৩ জানুয়ারি মারা গেছে ৮৯৬ জন।

সংক্রমক রোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সু লি ইয়াং বিবিসি-কে বলেন, ‘‘মৃত্যুহার যেভাবে হ্রাস পেয়েছে তা কার্যত শুরুর বিশাল ঢেউয়ের পর তা কমে আসার ধারেই অনুসরণ করেছে। এটি বোধগম্য এবং সব দেশই কোভিডের বড় ঢেউ দেখেছে।

‘‘তবে লুনার নিউ ইয়ার উদযাপন করতে গিয়ে চীনকে কোভিড সংক্রমণের আরও একটি ঢেউ দেখতে হবে কিনা তা আমরা শিগগিরই জানতে পারব। যদিও তা ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে দেশটিতে সংক্রমণের যে গতি ছিল সেটার মতো হবে না।”

২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটিতে চীনের ২২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ভ্রমণ করেছেন বলে জানা গেছে। গত বছরের তুলনায় যা ৭০ শতাংশ বেশি।

গত বছর চীনে অনেক অঞ্চলে কঠোর কোভিড বিধি জারি থাকায় মানুষ চীনা নববর্ষে তেমন ভ্রমণ করতে পারেনি।