কিইভ পশ্চিমাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ট্যাংক পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেওয়ার পরদিন ক্ষুব্ধ মস্কো এ ব্যাপক হামলা চালায়।
Published : 27 Jan 2023, 09:17 AM
রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহতে কিইভ পশ্চিমাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ট্যাংক পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেওয়ার পরদিন মস্কো ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়ে ইউক্রেইনজুড়ে বেসামরিকদের প্রাণভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে বাধ্য করেছে।
তাদের সর্বশেষ এ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় অন্তত ১১ বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেইনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কিইভের ধারাবাহিক অনুরোধের মুখে সম্প্রতি জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে কয়েক ডজন অত্যাধুনিক আব্রামস ও লেপার্ড ট্যাংক দিতে রাজি হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় মস্কো ইউক্রেইনের বিভিন্ন সংবেদনশীল স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র মেরে এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে তাদের রাগ ঝেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগেও যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেইনীয়দের সফলতার পর মস্কো প্রতিবেশী দেশটি লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে কোটি কোটি ইউক্রেইনীয়কে অন্ধকারে ডুবিয়ে রেখেছিল, অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয়েছিল পানির সংকট।
সর্বশেষ হামলায় রাশিয়া রাজধানী কিইভের আশেপাশে ১৫টিসহ ইউক্রেইনজুড়ে হামলায় যে ২৪টি ড্রোন পাঠিয়েছিল, তার সবগুলোই ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেইনের কর্মকর্তাদের।
এ দফা রাশিয়ার ছোড়া ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৪৭টিও ভূপাতিত করা হয়েছে, বলেছে তারা।
রাশিয়া এবার তাদের আর্কটিকের বোমারু বিমান ব্যবহার করেও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে অনুমান কিইভের কর্মকর্তাদের।
রাশিয়ার পাঠানো ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে ইউক্রেইনের প্রায় সমগ্র অঞ্চলেই সাইরেনের শব্দ পাওয়া গেছে। কিইভের বিপুল সংখ্যক লোককে দীর্ঘসময় ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনগুলোতে থাকতে হয়েছে।
১১টি অঞ্চল লক্ষ্য করে হওয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ নিহত এবং আরও ১১ জন আহতের পাশাপাশি ৩৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেইনের জরুরি পরিষেবার এক মুখপাত্র।
ইউক্রেইনের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনার ওপর রুশ হামলার ধারাবাহিকতায় এবারও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আঘাত হেনেছে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শেমেহাল।
ক্রেমলিন বলেছে, অত্যাধুনিক পশ্চিমা ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ১১ মাস ধরে চলা ইউক্রেইন সংঘাতে ক্রমেই ‘সরাসরি সম্পৃক্ত’ পক্ষ হয়ে উঠছে বলেই মনে করছে তারা।
ওয়াশিংটনসহ কিইভের মিত্ররা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
মস্কো ও কিইভ এতদিন সোভিয়েত আমলের টি-৭২ ট্যাংকের ওপর নির্ভরশীল ছিল; ফেব্রুয়ারির শেষদিক বা মার্চের শুরুতে দুই পক্ষই স্থল আক্রমণে মনোনিবেশ করবে বলে আন্দাজ করা হচ্ছে।