দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সমর্থকরা জোর করে আদালত ভবনে ঢুকে ভেতরে থাকা সব জিনিসপত্র ও জনালা ভাঙচুর করে।
Published : 19 Jan 2025, 06:12 PM
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে হেফাজতে রাখার সময়সীমা বাড়িয়েছে আদালত। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইউন সমর্থকরা রোববার আদালত ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে।
তারা জোর করে আদালত ভবনে ঢুকে ভেতরে থাকা সব জিনিসপত্র ও জনালা ভাঙচুর করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এ ধরনের অবৈধ সহিংসতায় সরকার অত্যন্ত দুঃখিত… গণতান্ত্রিক সমাজে এমন সহিংসতা কল্পনা করা যায় না।”
বুধবার ইউনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে হেফাজতে রাখার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এর বিরুদ্ধে লড়তে শনিবার প্রথম আদালতের শুনানিতে হাজিরা দেন ইউন। আদালতের শুনানি শেষে, ইউনকে আরও ২০ দিন হেফাজতে রাখার জন্য তদন্তকারীদের অনুমতি দেয় আদালত।
রোববার ভোরে আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দাঙ্গা পুলিশ পাহারা উপেক্ষা করে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন ইউনের সমর্থকরা। তাদের সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রবেশপথে পাহারায় থাকা পুলিশের ওপর অগ্নিনির্বাপক ছুঁড়ে আগে রাস্তা খালি করেন কয়েকজন সমর্থক। এরপর দলে দলে তারা আদালত ভবনে ঢুকে ভেতরে ভাঙচুর করে।
কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে তারা। দাঙ্গাকারী অন্যান্যদেরও খুঁজছে পুলিশ।
বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের ৯ সদস্য আহত হয়েছেন। আদালতের কাছে জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানায়, সহিংসতায় প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইউন গতবছর ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ সামরিক আইন জারি করে সবাইকে হতভম্ব করে দেন। জনগণ ও পার্লামেন্টের চাপে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সামরিক আইন তুলে নিলেও দক্ষিণ কোরিয়া গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে যায়।
সামরিক আইন জারির পর ফৌজদারি মামলার তদন্তে বুধবার দেশটির প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রেপ্তার হন ইউন।