তিউনিসিয়ায় ইহুদিদের একটি উপাসনালয়ের কাছে হামলায় দুই নিরাপত্তারক্ষী ও দুই দর্শনার্থী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
জেরবা দ্বীপের ওই সিনাগগ ইউরোপ ও ইসরায়েলের শত শত ইহুদিকে বাৎসরিক তীর্থযাত্রায় আকৃষ্ট করে, তার মধ্যেই মঙ্গলবার এই হামলা হল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দ্বীপটির একটি নৌ স্থাপনার এক রক্ষী ওই হামলাটি চালায়; রক্ষীটি প্রথমে তার অস্ত্র দিয়ে এক সহকর্মীকে গুলি করে এবং ওই সহকর্মীর সব গোলাবারুদ জব্দ করে সিনাগগের উদ্দেশ্যে ছুটে যায়, বিবৃতিতে বলেছে তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রক্ষীটি পরে সিনাগগের কাছে গিয়ে নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে, এতে দুই দর্শনার্থী ও এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৫ রক্ষী ও ৪ দর্শনার্থী আহতও হয়।
নিরাপত্তারক্ষীরা এরপর পাল্টা গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে, বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নিহত দুই দর্শনার্থীর মধ্যে একজন ফ্রান্সের, অন্যজন তিউনিসিয়ার নাগরিক বলে জানিয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হওয়া ভিডিওতে গুলির শব্দের মধ্যে আতঙ্কগ্রস্ত লোকজনকে উপাসনালয় চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। রয়টার্স ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
দ্বীপের বাসিন্দারা পরে জানান, তারা গুলি বিনিময়ের শব্দ শুনেছিলেন।
কী কারণে এই হামলা, কর্তৃপক্ষ এখনও তা বের করতে না পারলেও অঞ্চলটিতে সক্রিয় ই্সলামী জঙ্গিরা এর আগেও জেরবার তীর্থযাত্রাকে হামলার লক্ষ্য বানিয়েছিল। তারা দেশটির অন্যান্য অংশেও হামলা চালিয়েছিল।
আফ্রিকার দেশটিতে উল্লেখ করার মতো সর্বশেষ হামলা হয়েছিল ২০২০ সালে; যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ওই হামলায় এক কর্মকর্তা মারা যান।
তার আগের বছর ফ্রান্স দূতাবাসের বাইরে পুলিশকে লক্ষ্য করে হওয়া দুটি আত্মঘাতী হামলায়ও পুলিশের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন।
২০১৫ সালে সৈকতের একটি রিসোর্ট ও তিউনিস মিউজিয়ামে ইসলামী জঙ্গিদের দুটি পৃথক হামলায় অনেক পর্যটক মারা গিয়েছিল।
রাজধানী তিউনিস থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে, তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলের কাছে অবস্থিত পর্যটকদের ব্যাপক পছন্দের দ্বীপ জেরবায় আফ্রিকার সবচেয়ে পুরনো সিনাগগে বাৎসরিক তীর্থযাত্রায় নিয়মিতই ইউরোপ, ইসরয়েলের শত শত ইহুদি অংশগ্রহণ করেন।