মস্কোয় ইরান-রাশিয়া-তুরস্ক ও সিরিয়ার ‘গঠনমূলক আলোচনা’

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময়কার কয়েক বছরের শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে তুরস্ক-সিরিয়া সম্পর্ক পুনর্প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় এ আলোচনা হয়।

রয়টার্স
Published : 26 April 2023, 05:30 AM
Updated : 26 April 2023, 05:30 AM

ইরান, রাশিয়া, তুরস্ক এবং সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়েন্দা প্রধানরা মঙ্গলবার মস্কোয় আলোচনা করেছেন। আঙ্কারা ও মস্কো বলেছে, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময়টিতে সিরিয়া ও তুরস্কের কয়েক বছরের শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্ক পুনর্প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় এ আলোচনা হয়।

পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর সদস্যদেশ তুরস্ক সিরিয়ার ১২ বছরের গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধীদের সমর্থন দিয়েছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি সেনাও পাঠিয়েছে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট আসাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়া। আঙ্কারা ও দামেস্কর বিরোধ মেটাতে উৎসাহ দিয়েছে মস্কো। তবে দামেস্ক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের শর্ত হিসেবে সিরীয় ভূখণ্ড থেকে তুর্কি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

তুরস্ক ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈঠকে মন্ত্রী এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা সিরিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার এবং আঙ্কারা ও দামেস্কের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে আলোচনা করেছেন।  

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চার দেশ সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তাদের ইচ্ছা এবং সিরীয় শরণার্থীদের দ্রুত দেশে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে সিরিয়া থেকে তুর্কি সেনা প্রত্যাহার এবং কৌশলগত এম ৪ মহাসড়ক চালু নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সিরিয়ার বাণিজ্য নতুন করে শুরুর পথ সুগম করবে।

সিরিয়া ও তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এর আগে ডিসেম্বরে মস্কোয় আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। গৃহযুদ্ধ শুরুর পর সেটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ডিসেম্বরের ওই বৈঠকের আলোকে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক মে মাসের শুরুর দিকে হতে পারে। তবে পরে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তারিখের বিষয়ে একমত হতে না পারায় বৈঠকটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিরিয়ার কর্মকর্তারা বারবারই বলে আসছেন যে, দামেস্ক এবং আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে কোনও পদক্ষেপ শুরু হতে পারে কেবল সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করা হাজার হাজার তুর্কি সেনা প্রত্যাহারে তুরস্ক রাজি হলে।

কারণ, ওই অঞ্চলে তুরস্কের ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি রাশিয়া-নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটিগুলো আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে আছে।