রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে রাশিয়া, মিয়ানমার এবং বেলারুশের কোনও প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানায়নি যুক্তরাজ্য।
লন্ডনে ব্রিটিশ সরকারের কার্যালয় হোয়াইটহলের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন। রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে আগামী সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর)।
ইউক্রেইনে মস্কোর আগ্রাসনের জেরে যুক্তরাজ্য ও এর পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়া এবং এর মিত্র দেশ বেলারুশকে বিশ্ব মঞ্চ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চেয়েছে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ অন্যান্য আরও পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে।
অন্যদিকে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন, নিপীড়নের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের ওপরও যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন জোরদার করেছে।
একারণে, রাশিয়া, বেলারুশ বা মিয়ানমারের কোনও প্রতিনিধিই রানির শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারছেন না।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে, সেসব বেশিরভাগ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই রানির শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। লন্ডনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে প্রায় ৫০০ বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন থেকে শুরু করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।
ফলে যুক্তরাজ্যে কয়েক বছরের মধ্যে এবারই হতে চলেছে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সমাবেশ।