ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের একগাদা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এবার সে তালিকায় যোগ হচ্ছে হীরাও। রাশিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আমদানি হওয়া হীরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে ইউরোপীয় কমিশন।
রাশিয়া রুক্ষ হীরার সবচেয়ে বড় উৎপাদক। সাইবেরিয়ার বরফ জমা অঞ্চলের শত শত খনির নীচ থেকে উত্তোলন হয় এই আকাটা বা রুক্ষ হীরা। বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হীরা সরবরাহ হয় সেখান থেকেই।
মস্কোর বিরুদ্ধে ইইউ এর ১২ দফা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এবার এই হীরার ওপর নিষেধাজ্ঞাও যোগ হচ্ছে। জানুয়ারিতেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। জি- সেভেন এর দেশগুলোও নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০২২ সাল থেকে ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসেছে রাশিয়ার কয়লা, গ্যাস, ভদকা এমনকি সামুদ্রিক মাছের ডিমের ওপরও। কিন্তু রাশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খনি থেকে আসা হীরা এখনও বাগদানের আংটি, গলার হার এবং কানের দুলে ব্যবহার হয়ে আসছে।
ইইউ এতদিন পর্যন্ত হীরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়নি। কারণ, বিশেষত বেলজিয়াম বিশ্বের ডায়মন্ড ক্যাপিটাল হিসাবে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে চেয়েছে। সেই ১৫ তম শতাব্দী থেকে বেলজিয়াম ডায়মন্ড হাব হয়ে আছে।
বিশ্বজুড়ে খনি থেকে আসা রুক্ষ সব হীরার ৮০ শতাংশেরও বেশি বাণিজ্য হয় এখানে। আর ইউক্রেইনে যুদ্ধের আগে এইসব রুক্ষ হীরার ৪টির মধ্যে একটিই আসত রাশিয়া থেকে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেইন আগ্রাসনের বড় অর্থায়ন আসে রাশিয়ার হীরা রপ্তানির ব্যবসা থেকে। সেকারণে এবার হীরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে হাঁটছে ইইউ।
তবে এই পদক্ষেপ ভারি পড়বে বিশ্বের হীরার ব্যবসাতে- এমনটিই আশঙ্কা করছেন হীরা ব্যবসায়ীরা। বেড়ে যাবে রত্নটির সার্বিক খরচও। ফলে হীরার দাম গড়পড়তা ক্রেতাদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারে।