হাজিরা দিলেও নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রশ্নের ‘জবাব দেননি’ ট্রাম্প

নিজেদের অনুকূলে ঋণ সুবিধা ও কর ছাড় পেতে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন তাদের আবাসন সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিল বলে অভিযোগ নিউ ইয়র্কের কর্মকর্তাদের।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2022, 06:41 AM
Updated : 11 August 2022, 06:41 AM

পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে নিউ ইয়র্কে চলা এক তদন্তের অংশ হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে হাজিরা দিলেও তার করা প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এ হাজিরা আটকাতে ট্রাম্প মামলাও করেছিলেন, যদিও তা ধোপে টেকেনি।

নিজেদের অনুকূলে ঋণ সুবিধা ও কর ছাড় পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের নিউ ইয়র্কভিত্তিক কোম্পানি ট্রাম্প অর্গানাইজেশন তাদের আবাসন সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিল বলে অভিযোগ রাজ্যটির কর্মকর্তাদের।

অন্যদিকে ট্রাম্প বলছেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি, এবং তার বিরুদ্ধে যে দেওয়ানি তদন্ত চলছে তা আদতে ‘উইচ হান্ট’।

ম্যানহাটনে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষণ পর ট্রাম্প যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে সাবেক প্রেসিডেন্টকে অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিসিয়া জেমস ও তার বিস্তৃত তদন্তের সমালোচনা করতে দেখা গেছে।

“দীর্ঘ এই নাটকের পেছনে কয়েক বছরের পরিশ্রম আর লাখ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে, কোনো লাভ হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে যেসব অথিকার ও বিশেষ সুবিধা দিয়েছে তার আওতায় আমি প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি,” বলেছেন ট্রাম্প।

বুধবার ট্রাম্পের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে এবং প্রশ্নের উত্তর না দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে কাজে লাগিয়েছেন বলে পরে লেটিসিয়া জেমসের কার্যালয়ও নিশ্চিত করেছে।

“তদন্ত চলবে,” বলেছে তারা।

ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিলাসবহুল বাংলো মার-আ-লগোতে এফবিআইয়ের নজিরবিহীন তল্লাশির কয়েকদিন পর ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নির কার্যালয়ে হাজিরা দিলেন।

ট্রাম্পকে ৪ ঘণ্টার মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, এর মধ্যে দীর্ঘ বিরতিও ছিল বলে মার্কিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী রোনাল্ড ফিশেটি।

জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে ট্রাম্প একটি বিবৃতি পড়েন, যেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল ও তার তদন্তের সমালোচনা এবং পঞ্চম সংশোধনীতে দেওয়া অধিকারের কথা উল্লেখ করে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা জানানো হয়।

এরপর প্রতিটি প্রশ্নের জবাবে তিনি ‘একই উত্তর’ দেন।

জেমস ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ট্রাম্প এবং তার দুই সন্তান, ইভাঙ্কা ও ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রকে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির করতে চাইলেও ট্রাম্প পরিবার নিউ ইয়র্কের বিচার ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ওই পরোয়ানা কার্যকরে বাধা সৃষ্টি করে গেছে।

কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারক ওই তিনজনকে জেমসের কাছে সাক্ষ্য দিতে নির্দেশ দিলে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইভাঙ্কা ও ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র অ্যাটর্নি জেনারেলের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন।