গোলাবর্ষণে জাপোরিজিয়া পরমাণু ক্ষেত্র বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছয়টি পরমাণু চুল্লির সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চুল্লিগুলো ঠাণ্ডা হতে এবং তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া রোধে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন।

রয়টার্স
Published : 8 Oct 2022, 03:15 PM
Updated : 8 Oct 2022, 03:15 PM

রাতভর গোলাবর্ষণের কারণে ইউক্রেইনের রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাইরে থেকে বিদ্যু‍ৎ সরবরাহের একমাত্র সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ডিজেল চালিত জেনারেটর দিয়ে ইউরোপের সর্ববৃহৎ এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অতি জরুরি সুইচগুলো চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শনিবার ইউক্রেইনের রাষ্ট্রীয় পরমাণু কোম্পানি এবং জাতিসংঘের অ্যাটমিক ওয়াচডগের পক্ষ থেকে জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্তমান এই হালের কথা জানানো হয়।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে গোলাবর্ষণের দায় কেউ স্বীকার করেনি। বরং রাশিয়া ও ইউক্রেইন পরষ্পরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।

গোলাবর্ষণে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যে কোনো সময় বড় ধরনের পরমাণু বিপর্যয় নেমে আসার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

অথচ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) বার বার জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে সেখানে গোলাবর্ষণ না করার জন্য সবপক্ষকে চাপ দিচ্ছে।

জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ছয়টি পরমাণু চুল্লি রয়েছে। বর্তমানে সেগুলোর সবই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু চুল্লিগুলো ঠাণ্ডা হতে এবং সেগুলো গলে কোনো ধরনের তেজষ্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।

আইএইএ-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘পুনরায় গোলাবর্ষণ শুরু হওয়ার কারণে বাইরে থেকে পরমাণু ক্ষেত্রটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের একমাত্র লাইনটিও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এটা ভয়ঙ্কর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। জাপোরিজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রটিকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।”